alt

opinion » editorial

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষ কমছে না। গতকালও সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। যে কারণে কয়েকশ কারখানা বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়। কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন। তাদের ভেতরে নানা দাবিতে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তা থামছেই না। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। গত বুধবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। সভায় বলা হয়, গত ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ছয়টি জেলায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।

অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অথনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যে শুধু কারখানা মালিক বা ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা নয়। সাধারণ নাগরিকরাও উদ্বিগ্ন। এই ক্ষতি কোথায় গিয়ে থামবে সেটা একটা প্রশ্ন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ কী, এটা থামছে না কেনÑএমন প্রশ্ন করছেন নাগরিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের অনেক কারণ আছে। তারা কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন। শুধু যে বেতন বৈষম্যই ক্ষোভের কারণ তা নয়। নিয়োগ, মজুরি, ওভারটাইম, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি নিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ক্ষোভ নিরসনে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

যেসব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে তা অবিলম্বে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে ঋণ বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসব উদ্যোগ শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে কতটা কাজে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি সংশ্লিষ্টদের আমলে নিতে হবে। অনেক দাবি আছে যেগুলো পূরণ করার জন্য মালিকপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা দুরূহ।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষ কমছে না। গতকালও সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। যে কারণে কয়েকশ কারখানা বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়। কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন। তাদের ভেতরে নানা দাবিতে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তা থামছেই না। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। গত বুধবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। সভায় বলা হয়, গত ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ছয়টি জেলায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।

অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অথনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যে শুধু কারখানা মালিক বা ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা নয়। সাধারণ নাগরিকরাও উদ্বিগ্ন। এই ক্ষতি কোথায় গিয়ে থামবে সেটা একটা প্রশ্ন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ কী, এটা থামছে না কেনÑএমন প্রশ্ন করছেন নাগরিকরা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের অনেক কারণ আছে। তারা কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন। শুধু যে বেতন বৈষম্যই ক্ষোভের কারণ তা নয়। নিয়োগ, মজুরি, ওভারটাইম, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি নিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ক্ষোভ নিরসনে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

যেসব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে তা অবিলম্বে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে ঋণ বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এসব উদ্যোগ শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে কতটা কাজে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি সংশ্লিষ্টদের আমলে নিতে হবে। অনেক দাবি আছে যেগুলো পূরণ করার জন্য মালিকপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা দুরূহ।

back to top