শ্রমিক অসন্তোষ কমছে না। গতকালও সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। যে কারণে কয়েকশ কারখানা বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়। কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন। তাদের ভেতরে নানা দাবিতে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তা থামছেই না। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। গত বুধবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। সভায় বলা হয়, গত ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ছয়টি জেলায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।
অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অথনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যে শুধু কারখানা মালিক বা ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা নয়। সাধারণ নাগরিকরাও উদ্বিগ্ন। এই ক্ষতি কোথায় গিয়ে থামবে সেটা একটা প্রশ্ন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ কী, এটা থামছে না কেনÑএমন প্রশ্ন করছেন নাগরিকরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের অনেক কারণ আছে। তারা কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন। শুধু যে বেতন বৈষম্যই ক্ষোভের কারণ তা নয়। নিয়োগ, মজুরি, ওভারটাইম, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি নিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ক্ষোভ নিরসনে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
যেসব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে তা অবিলম্বে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে ঋণ বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসব উদ্যোগ শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে কতটা কাজে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি সংশ্লিষ্টদের আমলে নিতে হবে। অনেক দাবি আছে যেগুলো পূরণ করার জন্য মালিকপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা দুরূহ।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শ্রমিক অসন্তোষ কমছে না। গতকালও সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। যে কারণে কয়েকশ কারখানা বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছু কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ করে দেয়। কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পথে নেমেছেন। তাদের ভেতরে নানা দাবিতে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তা থামছেই না। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। গত বুধবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। সভায় বলা হয়, গত ১ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ছয়টি জেলায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে।
অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অথনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যে শুধু কারখানা মালিক বা ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা নয়। সাধারণ নাগরিকরাও উদ্বিগ্ন। এই ক্ষতি কোথায় গিয়ে থামবে সেটা একটা প্রশ্ন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ কী, এটা থামছে না কেনÑএমন প্রশ্ন করছেন নাগরিকরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের অনেক কারণ আছে। তারা কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন। শুধু যে বেতন বৈষম্যই ক্ষোভের কারণ তা নয়। নিয়োগ, মজুরি, ওভারটাইম, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি নিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ক্ষোভ নিরসনে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।
যেসব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে তা অবিলম্বে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে ঋণ বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসব উদ্যোগ শ্রমিক অসন্তোষ দূর করতে কতটা কাজে আসে সেটা দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হবে। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি সংশ্লিষ্টদের আমলে নিতে হবে। অনেক দাবি আছে যেগুলো পূরণ করার জন্য মালিকপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু সরকারের একার পক্ষে শ্রমিক অসন্তোষ দূর করা দুরূহ।