alt

opinion » editorial

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকিতে অপ্রাপ্ত বয়স্করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুমকির বিভিন্ন রাস্তায় চলছে এসব যানবাহন। অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত শিশু-কিশোররা গতিসীমা না মেনে যানবাহন চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতাও কম, যে কারণে কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিশু-কিশোরদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর এই চিত্র শুধু একটি জায়গার মধ্যে সীমিত নয়। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও তাদের স্টিয়ারিং হাতে নিতে দেখা যায়। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের ভারী পরিবহনও চালাতে দেখা যায়।

সাধারণত দেখা যায়, শিক্ষা সুবিধা থেকে ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শিশু-কিশোররা নানা কাজে নিয়োজিত হয়। এর আগে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের যানবাহন চালানোর কারণে গড়ে প্রতিদিন নয় শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সরকারকে এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়কে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা জরুরি। কোনো যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে যেন শিশু-কিশোরদের হাত না ওঠে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজনে তাদের উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পথ বের করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করতে হবে। সব শিশু যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হবে। শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকিতে অপ্রাপ্ত বয়স্করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুমকির বিভিন্ন রাস্তায় চলছে এসব যানবাহন। অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত শিশু-কিশোররা গতিসীমা না মেনে যানবাহন চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতাও কম, যে কারণে কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিশু-কিশোরদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর এই চিত্র শুধু একটি জায়গার মধ্যে সীমিত নয়। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও তাদের স্টিয়ারিং হাতে নিতে দেখা যায়। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের ভারী পরিবহনও চালাতে দেখা যায়।

সাধারণত দেখা যায়, শিক্ষা সুবিধা থেকে ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শিশু-কিশোররা নানা কাজে নিয়োজিত হয়। এর আগে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের যানবাহন চালানোর কারণে গড়ে প্রতিদিন নয় শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সরকারকে এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়কে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা জরুরি। কোনো যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে যেন শিশু-কিশোরদের হাত না ওঠে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজনে তাদের উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পথ বের করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করতে হবে। সব শিশু যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হবে। শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না।

back to top