পটুয়াখালীর দুমকিতে অপ্রাপ্ত বয়স্করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুমকির বিভিন্ন রাস্তায় চলছে এসব যানবাহন। অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত শিশু-কিশোররা গতিসীমা না মেনে যানবাহন চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতাও কম, যে কারণে কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শিশু-কিশোরদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর এই চিত্র শুধু একটি জায়গার মধ্যে সীমিত নয়। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও তাদের স্টিয়ারিং হাতে নিতে দেখা যায়। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের ভারী পরিবহনও চালাতে দেখা যায়।
সাধারণত দেখা যায়, শিক্ষা সুবিধা থেকে ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শিশু-কিশোররা নানা কাজে নিয়োজিত হয়। এর আগে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের যানবাহন চালানোর কারণে গড়ে প্রতিদিন নয় শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সরকারকে এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়কে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা জরুরি। কোনো যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে যেন শিশু-কিশোরদের হাত না ওঠে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।
শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজনে তাদের উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পথ বের করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করতে হবে। সব শিশু যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হবে। শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর দুমকিতে অপ্রাপ্ত বয়স্করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দুমকির বিভিন্ন রাস্তায় চলছে এসব যানবাহন। অদক্ষ-অপ্রশিক্ষিত শিশু-কিশোররা গতিসীমা না মেনে যানবাহন চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতাও কম, যে কারণে কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শিশু-কিশোরদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর এই চিত্র শুধু একটি জায়গার মধ্যে সীমিত নয়। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও তাদের স্টিয়ারিং হাতে নিতে দেখা যায়। অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের ভারী পরিবহনও চালাতে দেখা যায়।
সাধারণত দেখা যায়, শিক্ষা সুবিধা থেকে ঝরে পড়ে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে শিশু-কিশোররা নানা কাজে নিয়োজিত হয়। এর আগে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতে শ্রম দিচ্ছে ১ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের যানবাহন চালানোর কারণে গড়ে প্রতিদিন নয় শতাধিক ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সরকারকে এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়কে নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করা জরুরি। কোনো যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে যেন শিশু-কিশোরদের হাত না ওঠে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।
শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক শিশু এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবারের প্রয়োজনে তাদের উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে হয়। এসব শিশু-কিশোরের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পথ বের করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করতে হবে। সব শিশু যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা সারাদেশের সব স্কুলে চালু করা গেলে শিশু-কিশোরদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে বিদ্যালয়মুখী করা সম্ভব হবে। শ্রেণী-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কোনো কারণে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে সেটা হতে পারে না।