alt

সম্পাদকীয়

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুর সদর এলএসডি গুদামের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাল ও গম আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মসাৎকৃত চাল-গম কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। খাদ্য গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তাও বিষয়টি গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গুদামের খাদ্য মজুতের পরিমাণসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে খাদ্য গুদামে ১৪৪ টন এবং ৭৪৪ কেজি চাল এবং ৩১৭ কেজি গম কম পাওয়া যায়। যার অনুমানিক মূল্য কোটি টাকারও বেশি। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের খবর উদ্বেগজনক। আশার কথা হচ্ছে, উক্ত অভিযোগ ইতোমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে মামলা হয়েছে সেটা স্বস্তির বিষয়।

তবে সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চাল-গম আত্মসাতের বিষয়টি উক্ত গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানতেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায় না। গুদামের চাল-গম আত্মসাৎ ও বিক্রিতে তাদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকে বা তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

নিয়ম হচ্ছে, মাসে অন্তত দুবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সরেজমিন খাদ্য গুদামে গিয়ে খাদ্যের মজুত ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সেই প্রতিবেদন নিয়মিত দাখিল করা হলে এতবড় আত্মসাতের ঘটনা ঘটতে পারত না বা আরও আগেই সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। বর্তমান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার।

খাদ্যগুদামে জোরদার মনিটরিং থাকতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করা হলে গুদামের খাদ্যশস্য নয়ছয় করা সম্ভব হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

tab

সম্পাদকীয়

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুর সদর এলএসডি গুদামের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাল ও গম আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আত্মসাৎকৃত চাল-গম কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। খাদ্য গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তাও বিষয়টি গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গুদামের খাদ্য মজুতের পরিমাণসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে খাদ্য গুদামে ১৪৪ টন এবং ৭৪৪ কেজি চাল এবং ৩১৭ কেজি গম কম পাওয়া যায়। যার অনুমানিক মূল্য কোটি টাকারও বেশি। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।

খাদ্য গুদামের চাল-গম আত্মসাতের খবর উদ্বেগজনক। আশার কথা হচ্ছে, উক্ত অভিযোগ ইতোমধ্যে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি যে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে মামলা হয়েছে সেটা স্বস্তির বিষয়।

তবে সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চাল-গম আত্মসাতের বিষয়টি উক্ত গুদামের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানতেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায় না। গুদামের চাল-গম আত্মসাৎ ও বিক্রিতে তাদের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকে বা তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

নিয়ম হচ্ছে, মাসে অন্তত দুবার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সরেজমিন খাদ্য গুদামে গিয়ে খাদ্যের মজুত ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। সেই প্রতিবেদন নিয়মিত দাখিল করা হলে এতবড় আত্মসাতের ঘটনা ঘটতে পারত না বা আরও আগেই সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। বর্তমান সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার।

খাদ্যগুদামে জোরদার মনিটরিং থাকতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করা হলে গুদামের খাদ্যশস্য নয়ছয় করা সম্ভব হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top