alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোনো স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানান শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানান অসুখেও ভোগেন অনেকে।

একটি এলাকার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটা অনেকাংশে সেই এলাকার জলাভূমির ওপর নির্ভর করে। কোনো স্থানে জলাভূমির পরিমাণ কমলে সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাজধানীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ গড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে। এই তিন দশকে রাজধানীর জলাভূমি কমেছে ৬৯ শতাংশ।

ক্রমান্বয়ে রাজধানী ঢাকার জলাশয়গুলো ভরাটের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। আবাসন বাণিজ্য, ভূমিদূস্য, বালু মহাল এসব নামে জলাভূমি দখল ও ভরাট করা হয়েছে গত তিন দশকে। ঢাকার ভূমি ব্যবহারের চিত্রে দেখা যায় যে, ১৯৯০ দশকে ঢাকার জলাভূমির আয়তন ছিল ৩ হাজার হেক্টর; যা ঢাকার মোট আয়তনের ৫ শতাংশের বেশির ভাগই ছিল নগরীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। তখন ভরাট করা হয় ১৬১০ হেক্টর ভূমি। ক্রমান্বয়ে ভরাট হতে হতে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার হেক্টরে। যে হারে রাজধানীর জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৫০ সালে মধ্যে জলাভূমি ৯০ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলাভূমি পরিবেশ-প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজধানী ঢাকার যে সমস্ত এলাকা জলাভূমির কাছে অবস্থিত সেসব এলাকার তাপামাত্র তুলনামূলকভাবে জলাভূমি ভরাট এলাকার তাপমাত্রার চেয়ে কম। জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া এলাকায় গত তিন দশকে তাপমাত্র বেড়েছে ৩ ডিগ্রি হতে ৯.৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর জলাশয় ও তার আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা গড়ে বেড়েছে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমরা বলতে চাই, রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। জলাশয় ভরাট বন্ধের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। রাজধানীর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পিত শহর নকশা প্রণয়ন করা জরুরি বলে অনেকে মনে করেন। বিষয়টি নীতি-নির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন সেটা আমাদের আশা।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোনো স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানান শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানান অসুখেও ভোগেন অনেকে।

একটি এলাকার তাপমাত্রা কেমন হবে সেটা অনেকাংশে সেই এলাকার জলাভূমির ওপর নির্ভর করে। কোনো স্থানে জলাভূমির পরিমাণ কমলে সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে রাজধানীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ গড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে। এই তিন দশকে রাজধানীর জলাভূমি কমেছে ৬৯ শতাংশ।

ক্রমান্বয়ে রাজধানী ঢাকার জলাশয়গুলো ভরাটের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। আবাসন বাণিজ্য, ভূমিদূস্য, বালু মহাল এসব নামে জলাভূমি দখল ও ভরাট করা হয়েছে গত তিন দশকে। ঢাকার ভূমি ব্যবহারের চিত্রে দেখা যায় যে, ১৯৯০ দশকে ঢাকার জলাভূমির আয়তন ছিল ৩ হাজার হেক্টর; যা ঢাকার মোট আয়তনের ৫ শতাংশের বেশির ভাগই ছিল নগরীর উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। তখন ভরাট করা হয় ১৬১০ হেক্টর ভূমি। ক্রমান্বয়ে ভরাট হতে হতে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার হেক্টরে। যে হারে রাজধানীর জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৫০ সালে মধ্যে জলাভূমি ৯০ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলাভূমি পরিবেশ-প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজধানী ঢাকার যে সমস্ত এলাকা জলাভূমির কাছে অবস্থিত সেসব এলাকার তাপামাত্র তুলনামূলকভাবে জলাভূমি ভরাট এলাকার তাপমাত্রার চেয়ে কম। জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া এলাকায় গত তিন দশকে তাপমাত্র বেড়েছে ৩ ডিগ্রি হতে ৯.৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর জলাশয় ও তার আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা গড়ে বেড়েছে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমরা বলতে চাই, রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। জলাশয় ভরাট বন্ধের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। রাজধানীর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পিত শহর নকশা প্রণয়ন করা জরুরি বলে অনেকে মনে করেন। বিষয়টি নীতি-নির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন সেটা আমাদের আশা।

back to top