alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

: সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আর্সেনিক ও আয়রনমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্পটি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই প্রকল্প শুধু গ্রামবাসীর জন্য সুপেয় পানির নিশ্চিতকরণ নয়, বরং আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের এই ব্যবস্থা সারা দেশে উদাহরণ হতে পারে।

২০০৪ সালে ডিপিএইচই এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে উজিরপুরে আর্সেনিক নিরাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি গ্রামবাসীর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে ওঠে। এই প্রকল্পের সফলতা শুধু পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি গ্রামবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। গ্রামবাসী আগে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ছিল, যা থেকে এখন তারা মুক্তি পেয়েছে।

তবে এই সফলতার মাঝেও কিছু সমস্যা রয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কমিউনিটি ট্যাংকের অকেজো হয়ে যাওয়া এবং জনসংখ্যার তুলনায় কমিউনিটি ট্যাংকের সংখ্যা কম থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ পানির চাহিদা মেটানোর জন্য টিপ কল বা অন্যান্য ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা উচিত।

প্রকল্পটির কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা দেখা না দেয়। বর্তমানে সমিতির মাধ্যমে এই প্রকল্প পরিচালিত হলেও ভবিষ্যতে এর রক্ষণাবেক্ষণ আরও পেশাদারভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। প্রকল্পের বিদ্যুৎ বিল, পাইপলাইন মেরামতসহ অন্যান্য খরচ যেন সময়মতো মেটানো যায়, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

এই ধরনের উদ্যোগ দেশের আরও অন্যান্য আর্সেনিক কবলিত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে বাঁচানো যাবে, অন্যদিকে নিরাপদ পানির সরবরাহ গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।

উজিরপুর গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের প্রকল্পটি একটি আদর্শ উদাহরণ। এ ধরনের প্রকল্প অন্যান্য এলাকাতেও বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের আরও বহু মানুষ আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবে এবং সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আর্সেনিক ও আয়রনমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্পটি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই প্রকল্প শুধু গ্রামবাসীর জন্য সুপেয় পানির নিশ্চিতকরণ নয়, বরং আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের এই ব্যবস্থা সারা দেশে উদাহরণ হতে পারে।

২০০৪ সালে ডিপিএইচই এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে উজিরপুরে আর্সেনিক নিরাসন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটি গ্রামবাসীর জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে ওঠে। এই প্রকল্পের সফলতা শুধু পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি গ্রামবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। গ্রামবাসী আগে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ছিল, যা থেকে এখন তারা মুক্তি পেয়েছে।

তবে এই সফলতার মাঝেও কিছু সমস্যা রয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কমিউনিটি ট্যাংকের অকেজো হয়ে যাওয়া এবং জনসংখ্যার তুলনায় কমিউনিটি ট্যাংকের সংখ্যা কম থাকা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ পানির চাহিদা মেটানোর জন্য টিপ কল বা অন্যান্য ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা উচিত।

প্রকল্পটির কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা দেখা না দেয়। বর্তমানে সমিতির মাধ্যমে এই প্রকল্প পরিচালিত হলেও ভবিষ্যতে এর রক্ষণাবেক্ষণ আরও পেশাদারভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। প্রকল্পের বিদ্যুৎ বিল, পাইপলাইন মেরামতসহ অন্যান্য খরচ যেন সময়মতো মেটানো যায়, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

এই ধরনের উদ্যোগ দেশের আরও অন্যান্য আর্সেনিক কবলিত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্যই নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে বাঁচানো যাবে, অন্যদিকে নিরাপদ পানির সরবরাহ গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।

উজিরপুর গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের প্রকল্পটি একটি আদর্শ উদাহরণ। এ ধরনের প্রকল্প অন্যান্য এলাকাতেও বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের আরও বহু মানুষ আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবে এবং সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাবে।

back to top