alt

সম্পাদকীয়

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

: রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে কৃষকরা বিপর্যস্ত হন। এ বছর বন্যার কারণে দেশের কৃষক সম্প্রদায় দফায় দফায় সংকটে পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দেশে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ডেকে আনেনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে অনেক কৃষকের স্বপ্ন চুরমার হয়েছে। তারা পরিশ্রমের ফল ঘরে তোলার আগেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা এবং দেশের অর্থনীতিতে এ ক্ষতির প্রভাব কেমন হবে সেটাও ভাববার বিষয়।

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় ধান, সবজি এবং বিভিন্ন মৌসুমি ফসল বিনষ্ট হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে, যা মোট কৃষি উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সংকটে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা লাঘবের উদ্যোগ নেয়া দরকার। পরবর্তী ফসলের জন্য স্বল্প সুদে সহজ ঋণ দেয়া জরুরি। এতে তারা পুনরায় চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বীজ সংগ্রহ করতে পারবে।

বীজ ও সার ঘূর্ণিঝড়ে বিনষ্ট হওয়ায় এখন কৃষকদের নতুন করে এগুলোর প্রয়োজন হবে। সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করলে কৃষকরা নতুন উদ্যমে ফসল চাষে নামতে পারবেন।

কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দুর্যোগ-সহনশীল কৃষি প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ দিলে তারা দুর্যোগের সময়ে কীভাবে ফসলের সুরক্ষা করতে পারেন, সে সম্পর্কে সচেতন হবেন। এতে কৃষকরা স্বল্প সময়ে ফসল পুনরুদ্ধার এবং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারবে।

দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি, যা দেশে খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের বড় অংশকে সমর্থন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষক বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষি খাতকে টেকসই ভিত্তিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগ-সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারি নীতি, বেসরকারি সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

ঘূর্ণিঝড় দানা ও এবারের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের কৃষক আবারো নিজের ও দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের লড়াইয়ে নামবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। আর এজন্য তাদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

tab

সম্পাদকীয়

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে কৃষকরা বিপর্যস্ত হন। এ বছর বন্যার কারণে দেশের কৃষক সম্প্রদায় দফায় দফায় সংকটে পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দেশে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় ডেকে আনেনি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে অনেক কৃষকের স্বপ্ন চুরমার হয়েছে। তারা পরিশ্রমের ফল ঘরে তোলার আগেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। খাদ্য নিরাপত্তা এবং দেশের অর্থনীতিতে এ ক্ষতির প্রভাব কেমন হবে সেটাও ভাববার বিষয়।

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় ধান, সবজি এবং বিভিন্ন মৌসুমি ফসল বিনষ্ট হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে, যা মোট কৃষি উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সংকটে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা লাঘবের উদ্যোগ নেয়া দরকার। পরবর্তী ফসলের জন্য স্বল্প সুদে সহজ ঋণ দেয়া জরুরি। এতে তারা পুনরায় চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বীজ সংগ্রহ করতে পারবে।

বীজ ও সার ঘূর্ণিঝড়ে বিনষ্ট হওয়ায় এখন কৃষকদের নতুন করে এগুলোর প্রয়োজন হবে। সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করলে কৃষকরা নতুন উদ্যমে ফসল চাষে নামতে পারবেন।

কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দুর্যোগ-সহনশীল কৃষি প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ দিলে তারা দুর্যোগের সময়ে কীভাবে ফসলের সুরক্ষা করতে পারেন, সে সম্পর্কে সচেতন হবেন। এতে কৃষকরা স্বল্প সময়ে ফসল পুনরুদ্ধার এবং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে পারবে।

দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি, যা দেশে খাদ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের বড় অংশকে সমর্থন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষক বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষি খাতকে টেকসই ভিত্তিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগ-সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারি নীতি, বেসরকারি সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

ঘূর্ণিঝড় দানা ও এবারের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের কৃষক আবারো নিজের ও দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের লড়াইয়ে নামবেন বলে আমরা আশা করতে চাই। আর এজন্য তাদের যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

back to top