alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠা-াজনিত রোগ যেমনÑ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এবং নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চারশ শিশু নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ঠা-াজনিত সমস্যায় ভর্তি হচ্ছে। অথচ শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা মাত্র ২০, যার ফলে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান সংকট এতটাই যে, মেঝেতে বিছানা করে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে অস্থায়ী শিশু ইউনিট চালু করলেও তা-ও পর্যাপ্ত নয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের ঠা-া-কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার পেছনে বায়ুদূষণ ও ঋতু পরিবর্তনের বড় ভূমিকা রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিস্তার লাভ করছে। শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়া এ সমস্যা খুবই উদ্বেগজনক।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো এবং শীতকালীন সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকর পন্থা মেনে চলা উচিত। দৈনন্দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা গেলে মৌসুমি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ সময় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ নিন এবং কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতে যেন নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি না বাড়ে, সেজন্য প্রশাসনের উচিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং রোগীর চাপ কমানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া। সম্মিলিত সচেতনতা ও উদ্যোগই পারে এই শীতকালীন সংকট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠা-াজনিত রোগ যেমনÑ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এবং নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চারশ শিশু নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ঠা-াজনিত সমস্যায় ভর্তি হচ্ছে। অথচ শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা মাত্র ২০, যার ফলে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান সংকট এতটাই যে, মেঝেতে বিছানা করে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে অস্থায়ী শিশু ইউনিট চালু করলেও তা-ও পর্যাপ্ত নয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের ঠা-া-কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার পেছনে বায়ুদূষণ ও ঋতু পরিবর্তনের বড় ভূমিকা রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিস্তার লাভ করছে। শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়া এ সমস্যা খুবই উদ্বেগজনক।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো এবং শীতকালীন সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকর পন্থা মেনে চলা উচিত। দৈনন্দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা গেলে মৌসুমি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ সময় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ নিন এবং কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতে যেন নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি না বাড়ে, সেজন্য প্রশাসনের উচিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং রোগীর চাপ কমানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া। সম্মিলিত সচেতনতা ও উদ্যোগই পারে এই শীতকালীন সংকট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে।

back to top