শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠা-াজনিত রোগ যেমনÑ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এবং নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চারশ শিশু নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ঠা-াজনিত সমস্যায় ভর্তি হচ্ছে। অথচ শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা মাত্র ২০, যার ফলে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান সংকট এতটাই যে, মেঝেতে বিছানা করে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে অস্থায়ী শিশু ইউনিট চালু করলেও তা-ও পর্যাপ্ত নয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের ঠা-া-কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার পেছনে বায়ুদূষণ ও ঋতু পরিবর্তনের বড় ভূমিকা রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিস্তার লাভ করছে। শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়া এ সমস্যা খুবই উদ্বেগজনক।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো এবং শীতকালীন সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকর পন্থা মেনে চলা উচিত। দৈনন্দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা গেলে মৌসুমি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ সময় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ নিন এবং কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতে যেন নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি না বাড়ে, সেজন্য প্রশাসনের উচিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং রোগীর চাপ কমানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া। সম্মিলিত সচেতনতা ও উদ্যোগই পারে এই শীতকালীন সংকট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে।
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠা-াজনিত রোগ যেমনÑ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, এবং নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় চারশ শিশু নিউমোনিয়া ও অন্যান্য ঠা-াজনিত সমস্যায় ভর্তি হচ্ছে। অথচ শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা মাত্র ২০, যার ফলে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে স্থান সংকট এতটাই যে, মেঝেতে বিছানা করে শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে অস্থায়ী শিশু ইউনিট চালু করলেও তা-ও পর্যাপ্ত নয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের ঠা-া-কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার পেছনে বায়ুদূষণ ও ঋতু পরিবর্তনের বড় ভূমিকা রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে ওঠার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিস্তার লাভ করছে। শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ায় রূপ নেয়া এ সমস্যা খুবই উদ্বেগজনক।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো এবং শীতকালীন সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় কয়েকটি সহজ কিন্তু কার্যকর পন্থা মেনে চলা উচিত। দৈনন্দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা গেলে মৌসুমি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ সময় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ নিন এবং কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতে যেন নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি না বাড়ে, সেজন্য প্রশাসনের উচিত হাসপাতালগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং রোগীর চাপ কমানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া। সম্মিলিত সচেতনতা ও উদ্যোগই পারে এই শীতকালীন সংকট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে।