alt

সম্পাদকীয়

নদী খননে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

: শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

নৌপথে নাব্য সংকট কাটানোর জন্য নদী খনন করা হলেও কাটছে না সমস্যা। আরিচা-কাজিরহাট-বাঘাবাড়ী গত ২৮ জুলাই ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া গত ২৪ শে অক্টোবর হতে বিআইডাব্লিউটিএ খনন কার্যক্রম শুরু করেছে। ভরা বর্ষা মৌসুম থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্য সংকটের কোন উন্নতি হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উক্ত রুটে ফেরিসহ ভারি নৌযান চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং চলাচলরত ফেরিগুলো মাঝে মধ্যেই সৃষ্ট ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচলের জন্য ৯ থেকে ১০ ফুট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে মাত্র আট ফুটের আশপাশে।

চ্যানেলের প্রস্থও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সরু এ নৌ-চ্যানেলের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অনেক ডুবোচর। ফলে ফেরিগুলো হাফ লোড নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ডুবো চরে ধাক্কা খেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলায় ফেরির প্রপেলারের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ফেরিগুলোকে অন্য বিকল্প পথে দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে এবং জ্বালনি খরচও বেশি হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছেÑ খনন যন্ত্রের সাহায্যে নদীর বালু নদীর উজানে ফেলছে যাতে সেই বালু আবার খননের জায়গাতেই এসে পড়ে। এভাবে খনন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে। নদী পথে খননের আশানুরূপ কোন ফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লুটপাটের মনোভাব, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার চর্চা না থাকা, নির্দিষ্ট একক কোন প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং নৌ-পথের খনন কাজের কোন পরিকল্পিত জরিপ পরীক্ষা ছাড়াই খনন কার্যক্রম করা।

আমরা বলতে চাই, নৌ-পথে পরিকল্পিতভাবে জরিপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খনন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। নদী হতে খনন কৃত বালু বা মাটি যেন নদীতে না ফেলা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে একক কোন প্রতিষ্ঠানকে খননের দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে। নদী খননে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়তার সঙ্গে নজরদারি চালাতে হবে।

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

tab

সম্পাদকীয়

নদী খননে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

নৌপথে নাব্য সংকট কাটানোর জন্য নদী খনন করা হলেও কাটছে না সমস্যা। আরিচা-কাজিরহাট-বাঘাবাড়ী গত ২৮ জুলাই ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া গত ২৪ শে অক্টোবর হতে বিআইডাব্লিউটিএ খনন কার্যক্রম শুরু করেছে। ভরা বর্ষা মৌসুম থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্য সংকটের কোন উন্নতি হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উক্ত রুটে ফেরিসহ ভারি নৌযান চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং চলাচলরত ফেরিগুলো মাঝে মধ্যেই সৃষ্ট ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচলের জন্য ৯ থেকে ১০ ফুট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে মাত্র আট ফুটের আশপাশে।

চ্যানেলের প্রস্থও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সরু এ নৌ-চ্যানেলের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অনেক ডুবোচর। ফলে ফেরিগুলো হাফ লোড নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ডুবো চরে ধাক্কা খেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলায় ফেরির প্রপেলারের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ফেরিগুলোকে অন্য বিকল্প পথে দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে এবং জ্বালনি খরচও বেশি হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছেÑ খনন যন্ত্রের সাহায্যে নদীর বালু নদীর উজানে ফেলছে যাতে সেই বালু আবার খননের জায়গাতেই এসে পড়ে। এভাবে খনন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে। নদী পথে খননের আশানুরূপ কোন ফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লুটপাটের মনোভাব, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার চর্চা না থাকা, নির্দিষ্ট একক কোন প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং নৌ-পথের খনন কাজের কোন পরিকল্পিত জরিপ পরীক্ষা ছাড়াই খনন কার্যক্রম করা।

আমরা বলতে চাই, নৌ-পথে পরিকল্পিতভাবে জরিপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খনন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। নদী হতে খনন কৃত বালু বা মাটি যেন নদীতে না ফেলা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে একক কোন প্রতিষ্ঠানকে খননের দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে। নদী খননে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়তার সঙ্গে নজরদারি চালাতে হবে।

back to top