alt

সম্পাদকীয়

নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ান

: সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনে এক মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনেক পরিবার বাড়িঘর, জমিজমা, হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। হাতিয়ার হরনি, চানন্দী ও চেয়ারম্যান ঘাট নদী ভাঙনের অন্যতম প্রধান শিকার। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছে। বিশেষত ব্লক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য হাতিয়ার বাসিন্দাদের দাবি আমলে নেয়া জরুরি। যেহেতু নদীভাঙন জনজীবনের ওপর প্রতিনিয়ত প্রভাব ফেলছে, সেহেতু এটিকে উপেক্ষা করা চলে না। সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষায় ব্লক বাঁধ নির্মাণ কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, সেখানেই থামলে চলবে না। নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি এবং কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি। পরিবেশের পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পরিপ্রেক্ষিতে নদী ভাঙনের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। ফলে সরকারকে শুধু ব্লক বাঁধের দিকে নয়, নদী ব্যবস্থাপনা ও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রকৃতি পুনর্স্থাপনেও মনোযোগী হতে হবে।

যদিও নদীভাঙনের মতো সমস্যার সমাধানের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন, তবে এই মুহূর্তে স্থানীয় জনগণের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আন্তরিকভাবে নদীভাঙন রোধে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে এর ফলে শুধু হাতিয়া, বরং গোটা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

নদীভাঙনের মতো গুরুতর পরিবেশগত সমস্যার সমাধান সহজ নয়। এর সমাধান শুধু সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে করা কঠিন। জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নদীভাঙন রোধে, নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের সচেতন করে তোলা, উপকূলীয় এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানকল্পে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই সংকট মোকাবিলা করতে গেলে সরকারের পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নদীভাঙন রোদে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

tab

সম্পাদকীয়

নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ান

সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙনে এক মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনেক পরিবার বাড়িঘর, জমিজমা, হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। হাতিয়ার হরনি, চানন্দী ও চেয়ারম্যান ঘাট নদী ভাঙনের অন্যতম প্রধান শিকার। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছে। বিশেষত ব্লক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য হাতিয়ার বাসিন্দাদের দাবি আমলে নেয়া জরুরি। যেহেতু নদীভাঙন জনজীবনের ওপর প্রতিনিয়ত প্রভাব ফেলছে, সেহেতু এটিকে উপেক্ষা করা চলে না। সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষায় ব্লক বাঁধ নির্মাণ কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। তবে, সেখানেই থামলে চলবে না। নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি এবং কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি। পরিবেশের পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পরিপ্রেক্ষিতে নদী ভাঙনের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। ফলে সরকারকে শুধু ব্লক বাঁধের দিকে নয়, নদী ব্যবস্থাপনা ও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রকৃতি পুনর্স্থাপনেও মনোযোগী হতে হবে।

যদিও নদীভাঙনের মতো সমস্যার সমাধানের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন, তবে এই মুহূর্তে স্থানীয় জনগণের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আন্তরিকভাবে নদীভাঙন রোধে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে এর ফলে শুধু হাতিয়া, বরং গোটা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

নদীভাঙনের মতো গুরুতর পরিবেশগত সমস্যার সমাধান সহজ নয়। এর সমাধান শুধু সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে করা কঠিন। জনগণের সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নদীভাঙন রোধে, নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের সচেতন করে তোলা, উপকূলীয় এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধানকল্পে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই সংকট মোকাবিলা করতে গেলে সরকারের পাশাপাশি, স্থানীয় জনগণেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নদীভাঙন রোদে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

back to top