alt

সম্পাদকীয়

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

: সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শিশু পার্কটি এক সময়ে ছিল শিশু-কিশোরদের বিনোদন ও আনন্দের অন্যতম উৎস। কিন্তু নানা কারণে পার্কটির বর্তমান অবস্থা এক কথায় ভয়াবহ। অযতœ ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে পার্কের বিভিন্ন রাইড, পার্কে এক সময় চলমান ছিল নানা ধরনের আয়োজন, কিন্তু আজ তা শুধু এক ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর বাস্তব চিত্র হলো: শিশুদের জন্য নির্মিত এই পার্ক এখন সম্পূর্ণ বন্ধ, তার চারপাশে অযতœ-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট এবং এর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা প্রশাসনিক দৃষ্টি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লক্ষ্যণীয় যে, শিশুপার্কটি ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকার পরও এটি সচল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। পার্কের কার্যক্রম এখন বন্ধ রয়েছে এবং এটি দ্রুত চালু করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন থাকে, কেন দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ? কেন এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি? এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যর্থতা এখানে অত্যন্ত স্পষ্ট।

শিশুরা যদি বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাদের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়। পার্কটি যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো, তবে স্থানীয় শিশুরা বিনোদন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ পেত।

এতসব চিত্র দেখার পর, এই পরিস্থিতি যে শুধু একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা, তা স্পষ্ট। কোনো ধরনের সরকারি পরিকল্পনা বা কার্যকরী তদারকি ছাড়া কোনো প্রকল্প দীর্ঘদিন চালু রাখা সম্ভব নয়। শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক নির্মাণ অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও এটি অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হলে এর ফলাফল সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই অবস্থায়, শুধু প্রশাসনই নয়, স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে অভিভাবকদেরও উচিত পার্কটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। এটি শুধু একটি পার্কের সমস্যা নয়, এটি একটি সমাজের দায়িত্ববোধের বিষয়। আর তাই, একদিকে যেমন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়াতে হবে, তেমনি এলাকার মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। যদি অযতœ-অবহেলা বন্ধ না হয়, তবে এমন আরও বহু সামাজিক উদ্যোগ বিপর্যস্ত হতে থাকবে। শিশুরা বিনোদন চায়, তাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশও প্রয়োজন। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শিশু পার্কটি এক সময়ে ছিল শিশু-কিশোরদের বিনোদন ও আনন্দের অন্যতম উৎস। কিন্তু নানা কারণে পার্কটির বর্তমান অবস্থা এক কথায় ভয়াবহ। অযতœ ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে পার্কের বিভিন্ন রাইড, পার্কে এক সময় চলমান ছিল নানা ধরনের আয়োজন, কিন্তু আজ তা শুধু এক ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর বাস্তব চিত্র হলো: শিশুদের জন্য নির্মিত এই পার্ক এখন সম্পূর্ণ বন্ধ, তার চারপাশে অযতœ-অবহেলার ছাপ স্পষ্ট এবং এর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা প্রশাসনিক দৃষ্টি কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লক্ষ্যণীয় যে, শিশুপার্কটি ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকার পরও এটি সচল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। পার্কের কার্যক্রম এখন বন্ধ রয়েছে এবং এটি দ্রুত চালু করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন থাকে, কেন দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ? কেন এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি? এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যর্থতা এখানে অত্যন্ত স্পষ্ট।

শিশুরা যদি বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাদের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়। পার্কটি যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো, তবে স্থানীয় শিশুরা বিনোদন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ পেত।

এতসব চিত্র দেখার পর, এই পরিস্থিতি যে শুধু একটি প্রশাসনিক ব্যর্থতা, তা স্পষ্ট। কোনো ধরনের সরকারি পরিকল্পনা বা কার্যকরী তদারকি ছাড়া কোনো প্রকল্প দীর্ঘদিন চালু রাখা সম্ভব নয়। শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক নির্মাণ অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও এটি অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হলে এর ফলাফল সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই অবস্থায়, শুধু প্রশাসনই নয়, স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে অভিভাবকদেরও উচিত পার্কটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। এটি শুধু একটি পার্কের সমস্যা নয়, এটি একটি সমাজের দায়িত্ববোধের বিষয়। আর তাই, একদিকে যেমন প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা বাড়াতে হবে, তেমনি এলাকার মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। যদি অযতœ-অবহেলা বন্ধ না হয়, তবে এমন আরও বহু সামাজিক উদ্যোগ বিপর্যস্ত হতে থাকবে। শিশুরা বিনোদন চায়, তাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশও প্রয়োজন। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top