বরগুনার আমতলী পৌর শহরে এক দিনে কুকুরের কামড়ে ২৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের অধিকাংশই শিশু। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী ও বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের অভাব চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আহতদের স্বজনরা চড়া দামে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিকভাবে বড় চাপ সৃষ্টি করে।
অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ব্যর্থতা জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার পরিচায়ক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কি শুধু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য নাকি বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে, বিশেষত প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে। অতীতেও দেখা গেছে, কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবারাহ করা যায়নি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ সংকট একটি গুরুতর হুমকি। অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের অভাব রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া কঠিন করে তুলছে।
এছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে বিশেষ প্রচারাভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন, যাতে তারা কুকুরের আচরণ বুঝতে পারে এবং কামড়ের ঘটনা এড়াতে পারে।
বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে কুকুরের বংশবৃদ্ধি রোধে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
কুকুরের কামড়ের ঘটনা অবহেলা করার মতো নয়। এটি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনগণের সচেতনতা একত্রে কাজ করলে এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
বরগুনার আমতলী পৌর শহরে এক দিনে কুকুরের কামড়ে ২৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের অধিকাংশই শিশু। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী ও বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের অভাব চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আহতদের স্বজনরা চড়া দামে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিকভাবে বড় চাপ সৃষ্টি করে।
অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ব্যর্থতা জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার পরিচায়ক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কি শুধু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য নাকি বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে, বিশেষত প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে। অতীতেও দেখা গেছে, কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবারাহ করা যায়নি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ সংকট একটি গুরুতর হুমকি। অ্যান্টির্যাবিস ভ্যাকসিনের অভাব রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া কঠিন করে তুলছে।
এছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে বিশেষ প্রচারাভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন, যাতে তারা কুকুরের আচরণ বুঝতে পারে এবং কামড়ের ঘটনা এড়াতে পারে।
বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে অবিলম্বে কুকুরের বংশবৃদ্ধি রোধে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
কুকুরের কামড়ের ঘটনা অবহেলা করার মতো নয়। এটি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনগণের সচেতনতা একত্রে কাজ করলে এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।