বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রক্তদহ বিল এক সময় ছিল প্রাণবন্ত জলজ জীববৈচিত্র্যে পূর্ণ। স্থানীয় অনেকেই বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু আজ বিলটি দূষণের কারণে প্রায় মাছশূন্য। বিলুপ্ত হচ্ছে শাপলা, শালুকসহ জলজ উদ্ভিদ এবং বিলটি যেন বিষাক্ত পানির এক বিষাদময় জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। বিলের কালো রংয়ের পানি ও দুর্গন্ধ আশপাশের পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এই বিপর্যয়ের পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে সান্তাহার শহরের আশপাশে গড়ে ওঠা ১১টি স্বয়ংক্রিয় চাল কল। এসব কলের অধিকাংশই পানি শোধনাগার ছাড়াই বিষাক্ত বর্জ্য শাখা খালে ফেলছে, যা থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে রক্তদহ বিলে গিয়ে জমা হচ্ছে। যদিও উচ্চ আদালত চাল কলগুলোতে নির্দিষ্ট শোধনাগার স্থাপনের রায় দিয়েছেন, বাস্তবে এ নির্দেশনার সঠিক বাস্তবায়ন নেই। ফলে বিলটি পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার হয়ে প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে।
আমরা মনে করি, রক্তদহ বিলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রতিটি চালকলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শোধনাগার স্থাপন ও তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। শাখা খালে কোন কোন চাল কল থেকে বিষাক্ত পানি ছাড়া হচ্ছে, তা নির্ধারণে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইন অনুযায়ী অর্থদ- আরোপ ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রক্তদহ বিল পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, বিলটির পানি শোধন ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সরকার ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একযোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, রক্তদহ বিল শুধু একটি জলাশয় নয়; এটি মানুষের জীবিকা, প্রকৃতির বাস্তুসংস্থান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রক্তদহ বিল এক সময় ছিল প্রাণবন্ত জলজ জীববৈচিত্র্যে পূর্ণ। স্থানীয় অনেকেই বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু আজ বিলটি দূষণের কারণে প্রায় মাছশূন্য। বিলুপ্ত হচ্ছে শাপলা, শালুকসহ জলজ উদ্ভিদ এবং বিলটি যেন বিষাক্ত পানির এক বিষাদময় জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। বিলের কালো রংয়ের পানি ও দুর্গন্ধ আশপাশের পরিবেশেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
এই বিপর্যয়ের পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে সান্তাহার শহরের আশপাশে গড়ে ওঠা ১১টি স্বয়ংক্রিয় চাল কল। এসব কলের অধিকাংশই পানি শোধনাগার ছাড়াই বিষাক্ত বর্জ্য শাখা খালে ফেলছে, যা থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে রক্তদহ বিলে গিয়ে জমা হচ্ছে। যদিও উচ্চ আদালত চাল কলগুলোতে নির্দিষ্ট শোধনাগার স্থাপনের রায় দিয়েছেন, বাস্তবে এ নির্দেশনার সঠিক বাস্তবায়ন নেই। ফলে বিলটি পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার হয়ে প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে।
আমরা মনে করি, রক্তদহ বিলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রতিটি চালকলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শোধনাগার স্থাপন ও তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। শাখা খালে কোন কোন চাল কল থেকে বিষাক্ত পানি ছাড়া হচ্ছে, তা নির্ধারণে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইন অনুযায়ী অর্থদ- আরোপ ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রক্তদহ বিল পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, বিলটির পানি শোধন ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সরকার ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একযোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, রক্তদহ বিল শুধু একটি জলাশয় নয়; এটি মানুষের জীবিকা, প্রকৃতির বাস্তুসংস্থান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।