alt

সম্পাদকীয়

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত তাদের নিজ বাড়ি আজ চরম অনিরাপদ। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য এ কথাই নিশ্চিত করে। ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা স্বজনের হাতে খুন হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রমাণ করে, নারী নির্যাতন এবং লৈঙ্গিক সহিংসতা বিশ্বব্যাপী কতটা গভীর এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কতটা উপেক্ষিত।

জাতিসংঘের নারী সংস্থা (ইউএন ওমেন) এবং মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে ৫১ হাজার ১০০ নারী নিহত হয়েছেন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য একটি অশনি সংকেত। এটি শুধু নারীর নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং মানবাধিকার এবং সামগ্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যানটি শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার গভীর সামাজিক শিকড় এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিগত অসাম্যতাকে তুলে ধরে।

নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং সমাজের কিছু মন্দ প্রথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতার একটি বড় কারণ হলো, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোতে নারীর স্থানকে সংকীর্ণ করে রাখা এবং এই অবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে প্রথাগত নিয়ম ও রীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বেশ কিছু কার্যকর প্রস্তাব উঠে এসেছে। এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। সমাজের মূলধারায় লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অপরাধীদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। ক্ষতিকর প্রথা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দেয়া এখন সময়ের দাবি।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

tab

সম্পাদকীয়

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত তাদের নিজ বাড়ি আজ চরম অনিরাপদ। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য এ কথাই নিশ্চিত করে। ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা স্বজনের হাতে খুন হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রমাণ করে, নারী নির্যাতন এবং লৈঙ্গিক সহিংসতা বিশ্বব্যাপী কতটা গভীর এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কতটা উপেক্ষিত।

জাতিসংঘের নারী সংস্থা (ইউএন ওমেন) এবং মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে ৫১ হাজার ১০০ নারী নিহত হয়েছেন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য একটি অশনি সংকেত। এটি শুধু নারীর নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং মানবাধিকার এবং সামগ্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যানটি শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার গভীর সামাজিক শিকড় এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিগত অসাম্যতাকে তুলে ধরে।

নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং সমাজের কিছু মন্দ প্রথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতার একটি বড় কারণ হলো, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোতে নারীর স্থানকে সংকীর্ণ করে রাখা এবং এই অবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে প্রথাগত নিয়ম ও রীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বেশ কিছু কার্যকর প্রস্তাব উঠে এসেছে। এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। সমাজের মূলধারায় লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অপরাধীদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। ক্ষতিকর প্রথা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দেয়া এখন সময়ের দাবি।

back to top