alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতি টানার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির নতুন পথচলা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা থাকে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জন্য একটি স্থান অর্জন করা। তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট অর্জনে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হন, আর তাদের পরিচিতি ঘটে ‘ডিপ্রেশন’ নামক এক নতুন শব্দের সঙ্গে।

তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্রও দেখা যায়। পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী বিষণœতায় ভুগেন। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেশেসেরা মেধাবীদের সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে যখন নিজের অতীতের সেরা অবস্থান হারিয়ে ফেলেন, তখন অসংখ্য শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। এছাড়াও রয়েছে আশানুরূপ সিজিপিএ তুলতে না পারা ও পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারার আক্ষেপ। পারিবারিক, সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক দিক সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে। তারা বুঝে উঠতে পারেন না এই মুহূর্তে তাদের করণীয় কী!

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলরদের সাহায্য সহজলভ্য করতে হবে। নিয়মিত কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করতে হবে। আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং কর্মশালার আয়োজন করা। আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা যেতে পারে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক চিন্তা করতে এবং ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করতে উৎসাহিত করতে হবে। যেকোনো অবস্থান এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব বলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস করতে শেখাতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামাজিক বন্ধন দৃৃঢ় করা গুরুত্বপূর্ণ।

সুমাইয়া আক্তার

শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ

ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতি টানার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির নতুন পথচলা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা থাকে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জন্য একটি স্থান অর্জন করা। তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট অর্জনে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হন, আর তাদের পরিচিতি ঘটে ‘ডিপ্রেশন’ নামক এক নতুন শব্দের সঙ্গে।

তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্রও দেখা যায়। পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী বিষণœতায় ভুগেন। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেশেসেরা মেধাবীদের সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে যখন নিজের অতীতের সেরা অবস্থান হারিয়ে ফেলেন, তখন অসংখ্য শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। এছাড়াও রয়েছে আশানুরূপ সিজিপিএ তুলতে না পারা ও পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারার আক্ষেপ। পারিবারিক, সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক দিক সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে। তারা বুঝে উঠতে পারেন না এই মুহূর্তে তাদের করণীয় কী!

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলরদের সাহায্য সহজলভ্য করতে হবে। নিয়মিত কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করতে হবে। আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং কর্মশালার আয়োজন করা। আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা যেতে পারে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক চিন্তা করতে এবং ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করতে উৎসাহিত করতে হবে। যেকোনো অবস্থান এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব বলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস করতে শেখাতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামাজিক বন্ধন দৃৃঢ় করা গুরুত্বপূর্ণ।

সুমাইয়া আক্তার

শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ

ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।

back to top