দেশে এইচআইভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ জন বেড়েছে। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন।
গতকাল ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলÑ ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। এইচআইভি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অধিকার, সচেতনতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আক্রান্তদের ৫৫ শতাংশই বিবাহিত, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটি বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরে। অন্যদিকে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মানুষ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে বড় অংশ, যা প্রমাণ করে যে কর্মক্ষম ও প্রজননক্ষম বয়সি জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। গত বছর যেখানে ২০-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ শতাংশ, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১ শতাংশ।
রোহিঙ্গা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীও এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ ১০ শতাংশে অবস্থান করছে, যা সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
একসময় এইচআইভি প্রতিরোধে প্রচারণা কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো ছিল। গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ছিল গতিশীল। কিন্তু বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ায় এসব উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এইডস প্রতিরোধে তরুণ ও বিবাহিত জনগোষ্ঠীর জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে প্রচারণা বাড়ানো জরুরি।
উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার মান উন্নত করে তা সহজলভ্য করতে হবে।
রোহিঙ্গা ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ রোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; এর পাশাপাশি সমকামী, নারী যৌনকর্মী এবং শিরায় মাদক সেবনকারীদের জন্য পৃথক উদ্যোগ নেয়া দরকার।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে এইচআইভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ জন বেড়েছে। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন।
গতকাল ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলÑ ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। এইচআইভি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অধিকার, সচেতনতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আক্রান্তদের ৫৫ শতাংশই বিবাহিত, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটি বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরে। অন্যদিকে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মানুষ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে বড় অংশ, যা প্রমাণ করে যে কর্মক্ষম ও প্রজননক্ষম বয়সি জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। গত বছর যেখানে ২০-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ শতাংশ, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১ শতাংশ।
রোহিঙ্গা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীও এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ ১০ শতাংশে অবস্থান করছে, যা সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
একসময় এইচআইভি প্রতিরোধে প্রচারণা কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো ছিল। গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ছিল গতিশীল। কিন্তু বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ায় এসব উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এইডস প্রতিরোধে তরুণ ও বিবাহিত জনগোষ্ঠীর জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে প্রচারণা বাড়ানো জরুরি।
উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার মান উন্নত করে তা সহজলভ্য করতে হবে।
রোহিঙ্গা ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ রোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; এর পাশাপাশি সমকামী, নারী যৌনকর্মী এবং শিরায় মাদক সেবনকারীদের জন্য পৃথক উদ্যোগ নেয়া দরকার।