মৎস্য বিভাগ দেশি জাতের মাছ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলায় অভায়াশ্রম গড়ে তুলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, অভয়াশ্রমে নিরাপদে দেশীয় মাছের প্রজনন ঘটানো, মাছের বংশ বৃদ্ধি ঘটানো; কিন্তু একশ্রেণির মানুষের লোভের কারণে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিরাজগঞ্জে দেশি মাছের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ ৩৩টি মৎস্য অভয়আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর ১২টি সংস্কার করা হয়েছে। চলতি বছর সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ও উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনাসহ মোট ৬টি অভয়াশ্রমের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাছ শিকারে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর এখানে লম্বা কঞ্চিওয়ালা বাঁশ পোঁতা হয়। ফেলা হয় তেঁতুল গাছের ডাল। বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাছ শিকার।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমগুলোতে অসাধু শিকারিরা নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরছে। এদের রোধ করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট এলাকা লাল পতাকা দিয়ে ”িহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ ফুট গভীর লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত নদীর অংশটুকু সংরক্ষিত। অথচ সেখানেই নির্বিচারে মারা হচ্ছে মা মাছ।
সরকারি উদ্যোগ সফল করতে হলে সুশৃঙ্খল নজরদারি প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করা গেলে সুফল পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিকারিদের দমনে প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। ড্রোন বা নৌপুলিশ নিয়োজিত করার মতো আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ কার্যকর হতে পারে।
তবে অভয়াশ্রম রক্ষার বিষয়টি কেবল প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। অসাধু শিকারিরা মাছ ধরা বন্ধ করলে দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল স্থানীয় জনগণই বেশি পাবে।
সিরাজগঞ্জের অভয়াশ্রমগুলো শুধু একটি এলাকার মৎস্য সম্পদ রক্ষার প্রকল্প নয়, এটি একটি টেকসই পরিবেশ সুরক্ষার মডেল হতে পারে। তাই এই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মৎস্য বিভাগ দেশি জাতের মাছ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলায় অভায়াশ্রম গড়ে তুলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, অভয়াশ্রমে নিরাপদে দেশীয় মাছের প্রজনন ঘটানো, মাছের বংশ বৃদ্ধি ঘটানো; কিন্তু একশ্রেণির মানুষের লোভের কারণে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিরাজগঞ্জে দেশি মাছের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ ৩৩টি মৎস্য অভয়আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর ১২টি সংস্কার করা হয়েছে। চলতি বছর সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ও উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনাসহ মোট ৬টি অভয়াশ্রমের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাছ শিকারে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর এখানে লম্বা কঞ্চিওয়ালা বাঁশ পোঁতা হয়। ফেলা হয় তেঁতুল গাছের ডাল। বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাছ শিকার।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমগুলোতে অসাধু শিকারিরা নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরছে। এদের রোধ করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট এলাকা লাল পতাকা দিয়ে ”িহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ ফুট গভীর লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত নদীর অংশটুকু সংরক্ষিত। অথচ সেখানেই নির্বিচারে মারা হচ্ছে মা মাছ।
সরকারি উদ্যোগ সফল করতে হলে সুশৃঙ্খল নজরদারি প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করা গেলে সুফল পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিকারিদের দমনে প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। ড্রোন বা নৌপুলিশ নিয়োজিত করার মতো আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ কার্যকর হতে পারে।
তবে অভয়াশ্রম রক্ষার বিষয়টি কেবল প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। অসাধু শিকারিরা মাছ ধরা বন্ধ করলে দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল স্থানীয় জনগণই বেশি পাবে।
সিরাজগঞ্জের অভয়াশ্রমগুলো শুধু একটি এলাকার মৎস্য সম্পদ রক্ষার প্রকল্প নয়, এটি একটি টেকসই পরিবেশ সুরক্ষার মডেল হতে পারে। তাই এই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।