alt

সম্পাদকীয়

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মৎস্য বিভাগ দেশি জাতের মাছ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলায় অভায়াশ্রম গড়ে তুলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, অভয়াশ্রমে নিরাপদে দেশীয় মাছের প্রজনন ঘটানো, মাছের বংশ বৃদ্ধি ঘটানো; কিন্তু একশ্রেণির মানুষের লোভের কারণে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিরাজগঞ্জে দেশি মাছের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ ৩৩টি মৎস্য অভয়আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর ১২টি সংস্কার করা হয়েছে। চলতি বছর সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ও উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনাসহ মোট ৬টি অভয়াশ্রমের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাছ শিকারে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর এখানে লম্বা কঞ্চিওয়ালা বাঁশ পোঁতা হয়। ফেলা হয় তেঁতুল গাছের ডাল। বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাছ শিকার।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমগুলোতে অসাধু শিকারিরা নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরছে। এদের রোধ করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট এলাকা লাল পতাকা দিয়ে ”িহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ ফুট গভীর লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত নদীর অংশটুকু সংরক্ষিত। অথচ সেখানেই নির্বিচারে মারা হচ্ছে মা মাছ।

সরকারি উদ্যোগ সফল করতে হলে সুশৃঙ্খল নজরদারি প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করা গেলে সুফল পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিকারিদের দমনে প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। ড্রোন বা নৌপুলিশ নিয়োজিত করার মতো আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ কার্যকর হতে পারে।

তবে অভয়াশ্রম রক্ষার বিষয়টি কেবল প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। অসাধু শিকারিরা মাছ ধরা বন্ধ করলে দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল স্থানীয় জনগণই বেশি পাবে।

সিরাজগঞ্জের অভয়াশ্রমগুলো শুধু একটি এলাকার মৎস্য সম্পদ রক্ষার প্রকল্প নয়, এটি একটি টেকসই পরিবেশ সুরক্ষার মডেল হতে পারে। তাই এই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

tab

সম্পাদকীয়

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মৎস্য বিভাগ দেশি জাতের মাছ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জেলায় অভায়াশ্রম গড়ে তুলেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, অভয়াশ্রমে নিরাপদে দেশীয় মাছের প্রজনন ঘটানো, মাছের বংশ বৃদ্ধি ঘটানো; কিন্তু একশ্রেণির মানুষের লোভের কারণে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিরাজগঞ্জে দেশি মাছের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগ ৩৩টি মৎস্য অভয়আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর ১২টি সংস্কার করা হয়েছে। চলতি বছর সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ও উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনাসহ মোট ৬টি অভয়াশ্রমের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাছ শিকারে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর এখানে লম্বা কঞ্চিওয়ালা বাঁশ পোঁতা হয়। ফেলা হয় তেঁতুল গাছের ডাল। বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাছ শিকার।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভয়াশ্রমগুলোতে অসাধু শিকারিরা নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরছে। এদের রোধ করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট এলাকা লাল পতাকা দিয়ে ”িহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৪০ ফুট গভীর লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত নদীর অংশটুকু সংরক্ষিত। অথচ সেখানেই নির্বিচারে মারা হচ্ছে মা মাছ।

সরকারি উদ্যোগ সফল করতে হলে সুশৃঙ্খল নজরদারি প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করা গেলে সুফল পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিকারিদের দমনে প্রযুক্তিগত নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। ড্রোন বা নৌপুলিশ নিয়োজিত করার মতো আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ কার্যকর হতে পারে।

তবে অভয়াশ্রম রক্ষার বিষয়টি কেবল প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। অসাধু শিকারিরা মাছ ধরা বন্ধ করলে দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল স্থানীয় জনগণই বেশি পাবে।

সিরাজগঞ্জের অভয়াশ্রমগুলো শুধু একটি এলাকার মৎস্য সম্পদ রক্ষার প্রকল্প নয়, এটি একটি টেকসই পরিবেশ সুরক্ষার মডেল হতে পারে। তাই এই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।

back to top