alt

সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা ও এর যথাযথ দেখাশোনার দায়িত্ব বনবিভাগের ওপর বর্তায়, কিন্তু বাস্তবে যদি তা না হয়, তাহলে তা ইঙ্গিত দেয় যে কোথাও কোনও সমস্যা আছে। বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে গাছ কাটা হচ্ছে, আর সেই কাজও হচ্ছে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই। একটি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে প্রায় ৫ একর বনভূমির গাছ কেটে পাচার করছে, অথচ বন বিভাগ, প্রশাসন কিংবা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

গাছ কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব নিয়মকানুন উপেক্ষিত হচ্ছে, আর প্রশাসনও এটি বন্ধ করতে আগ্রহী নয়।

আমরা বলতে চাই, গাছ কাটা ও বন ধ্বংসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। অভিযোগ রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ গাছ কাটা চক্রকে অন্যায় মদত দিচ্ছে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার দরকার। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবেÑ কোনো কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একইসঙ্গে বনভূমি রক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।

বন আমাদের পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু আমাদের প্রতিবেশী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে না, বরং আমাদের জলবায়ু এবং মানবজাতির জন্যও অপরিহার্যÑ তাই সংরক্ষিত বন ধ্বংসের এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা ও এর যথাযথ দেখাশোনার দায়িত্ব বনবিভাগের ওপর বর্তায়, কিন্তু বাস্তবে যদি তা না হয়, তাহলে তা ইঙ্গিত দেয় যে কোথাও কোনও সমস্যা আছে। বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে গাছ কাটা হচ্ছে, আর সেই কাজও হচ্ছে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই। একটি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে প্রায় ৫ একর বনভূমির গাছ কেটে পাচার করছে, অথচ বন বিভাগ, প্রশাসন কিংবা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

গাছ কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব নিয়মকানুন উপেক্ষিত হচ্ছে, আর প্রশাসনও এটি বন্ধ করতে আগ্রহী নয়।

আমরা বলতে চাই, গাছ কাটা ও বন ধ্বংসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। অভিযোগ রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ গাছ কাটা চক্রকে অন্যায় মদত দিচ্ছে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার দরকার। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবেÑ কোনো কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একইসঙ্গে বনভূমি রক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।

বন আমাদের পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু আমাদের প্রতিবেশী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে না, বরং আমাদের জলবায়ু এবং মানবজাতির জন্যও অপরিহার্যÑ তাই সংরক্ষিত বন ধ্বংসের এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

back to top