বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেতছড়া পাড়ায় অগ্নিকা-ের ঘটনাটি পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি গভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বড়দিনের রাতে পাড়ার প্রায় সবাই যখন পাশের গ্রামের উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতভিটা হারানো এসব পরিবার বর্তমানে উদ্বাস্তু অবস্থায় দিন পার করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু দুঃখজনক নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কিছুদিন ধরে তাদের পাড়া ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘরগুলো যেভাবে পুড়েছে, তা স্বাভাবিক অগ্নিকা-ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের এই অভিযোগের পাশাপাশি জানা গেছে, পাড়ার জমি নিয়ে একটি বিরোধ বহুদিন ধরে চলমান। স্থানীয়রা এটিকে ‘এএসপি জমি’ বলে অভিহিত করেন, যা পুলিশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লোকজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, অগ্নিকা-টি কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত।
অগ্নিকা-ের পর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও প্রশ্ন থেকে যায় তাদের দায়িত্ব পালনের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে। তবে, জমি নিয়ে বিরোধ বা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ‘লিখিত অভিযোগ’ দেয়ার পরামর্শ দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য এটি কতটা বাস্তবসম্মত বা নিরাপদ তা ভাবার বিষয়।
পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠী প্রায়ই এ ধরনের বিরোধের শিকার হয়। ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। জমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ ও বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের অধিকারের প্রশ্নে আজ অসহায়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, আগুন লাগানোর ঘটনাটি যদি পূর্বপরিকল্পিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওপর এই আঘাত নিছক একটি পাড়ার ক্ষতি নয়; এটি মানবতার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এই সংকট সমাধানে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবেÑ যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেতছড়া পাড়ায় অগ্নিকা-ের ঘটনাটি পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি গভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বড়দিনের রাতে পাড়ার প্রায় সবাই যখন পাশের গ্রামের উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতভিটা হারানো এসব পরিবার বর্তমানে উদ্বাস্তু অবস্থায় দিন পার করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু দুঃখজনক নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কিছুদিন ধরে তাদের পাড়া ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘরগুলো যেভাবে পুড়েছে, তা স্বাভাবিক অগ্নিকা-ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের এই অভিযোগের পাশাপাশি জানা গেছে, পাড়ার জমি নিয়ে একটি বিরোধ বহুদিন ধরে চলমান। স্থানীয়রা এটিকে ‘এএসপি জমি’ বলে অভিহিত করেন, যা পুলিশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লোকজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, অগ্নিকা-টি কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত।
অগ্নিকা-ের পর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও প্রশ্ন থেকে যায় তাদের দায়িত্ব পালনের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে। তবে, জমি নিয়ে বিরোধ বা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ‘লিখিত অভিযোগ’ দেয়ার পরামর্শ দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য এটি কতটা বাস্তবসম্মত বা নিরাপদ তা ভাবার বিষয়।
পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠী প্রায়ই এ ধরনের বিরোধের শিকার হয়। ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। জমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ ও বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের অধিকারের প্রশ্নে আজ অসহায়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, আগুন লাগানোর ঘটনাটি যদি পূর্বপরিকল্পিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওপর এই আঘাত নিছক একটি পাড়ার ক্ষতি নয়; এটি মানবতার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এই সংকট সমাধানে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবেÑ যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে।