alt

সম্পাদকীয়

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেতছড়া পাড়ায় অগ্নিকা-ের ঘটনাটি পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি গভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বড়দিনের রাতে পাড়ার প্রায় সবাই যখন পাশের গ্রামের উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতভিটা হারানো এসব পরিবার বর্তমানে উদ্বাস্তু অবস্থায় দিন পার করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু দুঃখজনক নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কিছুদিন ধরে তাদের পাড়া ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘরগুলো যেভাবে পুড়েছে, তা স্বাভাবিক অগ্নিকা-ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের এই অভিযোগের পাশাপাশি জানা গেছে, পাড়ার জমি নিয়ে একটি বিরোধ বহুদিন ধরে চলমান। স্থানীয়রা এটিকে ‘এএসপি জমি’ বলে অভিহিত করেন, যা পুলিশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লোকজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, অগ্নিকা-টি কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত।

অগ্নিকা-ের পর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও প্রশ্ন থেকে যায় তাদের দায়িত্ব পালনের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে। তবে, জমি নিয়ে বিরোধ বা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ‘লিখিত অভিযোগ’ দেয়ার পরামর্শ দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য এটি কতটা বাস্তবসম্মত বা নিরাপদ তা ভাবার বিষয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠী প্রায়ই এ ধরনের বিরোধের শিকার হয়। ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। জমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ ও বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের অধিকারের প্রশ্নে আজ অসহায়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, আগুন লাগানোর ঘটনাটি যদি পূর্বপরিকল্পিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওপর এই আঘাত নিছক একটি পাড়ার ক্ষতি নয়; এটি মানবতার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এই সংকট সমাধানে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবেÑ যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে।

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকা-

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

tab

সম্পাদকীয়

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বেতছড়া পাড়ায় অগ্নিকা-ের ঘটনাটি পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের প্রতি গভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বড়দিনের রাতে পাড়ার প্রায় সবাই যখন পাশের গ্রামের উৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতভিটা হারানো এসব পরিবার বর্তমানে উদ্বাস্তু অবস্থায় দিন পার করছেন। এই পরিস্থিতি শুধু দুঃখজনক নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কিছুদিন ধরে তাদের পাড়া ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এমনকি ঘরগুলো যেভাবে পুড়েছে, তা স্বাভাবিক অগ্নিকা-ের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের এই অভিযোগের পাশাপাশি জানা গেছে, পাড়ার জমি নিয়ে একটি বিরোধ বহুদিন ধরে চলমান। স্থানীয়রা এটিকে ‘এএসপি জমি’ বলে অভিহিত করেন, যা পুলিশের এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লোকজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, অগ্নিকা-টি কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত।

অগ্নিকা-ের পর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয় হলেও প্রশ্ন থেকে যায় তাদের দায়িত্ব পালনের দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে। তবে, জমি নিয়ে বিরোধ বা নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ‘লিখিত অভিযোগ’ দেয়ার পরামর্শ দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য এটি কতটা বাস্তবসম্মত বা নিরাপদ তা ভাবার বিষয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের সমস্যা। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠী প্রায়ই এ ধরনের বিরোধের শিকার হয়। ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। জমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ ও বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দারা তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের অধিকারের প্রশ্নে আজ অসহায়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি, আগুন লাগানোর ঘটনাটি যদি পূর্বপরিকল্পিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওপর এই আঘাত নিছক একটি পাড়ার ক্ষতি নয়; এটি মানবতার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ। এই সংকট সমাধানে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবেÑ যাতে পাহাড়ি অঞ্চলের প্রত্যেকটি মানুষ তাদের অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে।

back to top