দুই যুগ ধরে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে আছে। বারইখালী ফেরিঘাট থেকে ঘুষিয়াখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এর প্রকৃত আকৃতি হারিয়ে গেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষার সময় বা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মানুষের যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৮টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌপথ। এটি কেবল যাতায়াত ব্যয় বাড়াচ্ছে না, সময় এবং শ্রমও দ্বিগুণ করে তুলছে। জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত, এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাদের জীবনমানকেই নিচুতে নামাচ্ছে না, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে ঘষিয়াখালীর ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রতি বছর মাটির রাস্তা সংস্কার করা হলেও বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। টেকসই বেড়িবাঁধ এবং মজবুত রাস্তার অভাবে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন যেন অধরাই থেকে গেছে।
বারইখালী ও বহরবুনিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি হলো টেকসই বেড়িবাঁধ, পর্যাপ্ত স্লুইসগেট, এবং পাকা রাস্তা নির্মাণ। বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিশ্চিত না হলে বন্যা ও নদীভাঙন অব্যাহত থাকবে। স্লুইসগেটের অভাবে কৃষি এবং মাছ চাষেও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, কার্পেটিং ও পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হবে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়বে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষ উন্নয়ন থেকে আর কতদিন বঞ্চিত থাকবে। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। এখন সময় এসেছে, এই জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত করার।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
দুই যুগ ধরে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে আছে। বারইখালী ফেরিঘাট থেকে ঘুষিয়াখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এর প্রকৃত আকৃতি হারিয়ে গেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষার সময় বা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মানুষের যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৮টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌপথ। এটি কেবল যাতায়াত ব্যয় বাড়াচ্ছে না, সময় এবং শ্রমও দ্বিগুণ করে তুলছে। জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত, এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাদের জীবনমানকেই নিচুতে নামাচ্ছে না, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে ঘষিয়াখালীর ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রতি বছর মাটির রাস্তা সংস্কার করা হলেও বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। টেকসই বেড়িবাঁধ এবং মজবুত রাস্তার অভাবে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন যেন অধরাই থেকে গেছে।
বারইখালী ও বহরবুনিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি হলো টেকসই বেড়িবাঁধ, পর্যাপ্ত স্লুইসগেট, এবং পাকা রাস্তা নির্মাণ। বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিশ্চিত না হলে বন্যা ও নদীভাঙন অব্যাহত থাকবে। স্লুইসগেটের অভাবে কৃষি এবং মাছ চাষেও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, কার্পেটিং ও পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হবে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়বে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষ উন্নয়ন থেকে আর কতদিন বঞ্চিত থাকবে। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। এখন সময় এসেছে, এই জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত করার।