alt

সম্পাদকীয়

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

: বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

দুই যুগ ধরে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে আছে। বারইখালী ফেরিঘাট থেকে ঘুষিয়াখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এর প্রকৃত আকৃতি হারিয়ে গেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষার সময় বা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মানুষের যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

৮টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌপথ। এটি কেবল যাতায়াত ব্যয় বাড়াচ্ছে না, সময় এবং শ্রমও দ্বিগুণ করে তুলছে। জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত, এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাদের জীবনমানকেই নিচুতে নামাচ্ছে না, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে ঘষিয়াখালীর ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রতি বছর মাটির রাস্তা সংস্কার করা হলেও বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। টেকসই বেড়িবাঁধ এবং মজবুত রাস্তার অভাবে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন যেন অধরাই থেকে গেছে।

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি হলো টেকসই বেড়িবাঁধ, পর্যাপ্ত স্লুইসগেট, এবং পাকা রাস্তা নির্মাণ। বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিশ্চিত না হলে বন্যা ও নদীভাঙন অব্যাহত থাকবে। স্লুইসগেটের অভাবে কৃষি এবং মাছ চাষেও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, কার্পেটিং ও পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হবে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়বে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষ উন্নয়ন থেকে আর কতদিন বঞ্চিত থাকবে। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। এখন সময় এসেছে, এই জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত করার।

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

tab

সম্পাদকীয়

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

দুই যুগ ধরে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ও বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে আছে। বারইখালী ফেরিঘাট থেকে ঘুষিয়াখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এর প্রকৃত আকৃতি হারিয়ে গেছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। বর্ষার সময় বা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মানুষের যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

৮টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌপথ। এটি কেবল যাতায়াত ব্যয় বাড়াচ্ছে না, সময় এবং শ্রমও দ্বিগুণ করে তুলছে। জরুরি অবস্থায় রোগী পরিবহন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত, এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাদের জীবনমানকেই নিচুতে নামাচ্ছে না, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।

২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রভাবে ঘষিয়াখালীর ৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। প্রতি বছর মাটির রাস্তা সংস্কার করা হলেও বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। টেকসই বেড়িবাঁধ এবং মজবুত রাস্তার অভাবে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন যেন অধরাই থেকে গেছে।

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি হলো টেকসই বেড়িবাঁধ, পর্যাপ্ত স্লুইসগেট, এবং পাকা রাস্তা নির্মাণ। বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব নিশ্চিত না হলে বন্যা ও নদীভাঙন অব্যাহত থাকবে। স্লুইসগেটের অভাবে কৃষি এবং মাছ চাষেও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, কার্পেটিং ও পাকা রাস্তা নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর হবে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়বে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষ উন্নয়ন থেকে আর কতদিন বঞ্চিত থাকবে। তাদের ন্যায্য দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব। এখন সময় এসেছে, এই জনপদকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আলোকিত করার।

back to top