alt

সম্পাদকীয়

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

: সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া ৪৮০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। অথচ ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি এখনও অসম্পূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য ছিল দুর্যোগপ্রবণ এলাকাটি সুরক্ষিত করা এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। তবে প্রকল্পটি সময়মতো শেষ না হওয়া এবং তদারকির অভাবে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যবহৃত সিমেন্টের কংক্রিট কভার ব্লকের মান নিশ্চিত করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১:৩:৫ অনুপাতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও, দেখা গেছে ১ বালতি সিমেন্টের সঙ্গে ৬-৭ বালতি বালু এবং ১২-১৩ বালতি পাথর কুচি মিশিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের অনুপাত মানদ-ের ঘাটতি এবং নির্মাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা প্রকল্পটিকে অকার্যকর করে তুলেছে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এক চরম উদাহরণ। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, দুর্নীতির কারণে পুরো প্রকল্পটি ব্যর্থ হতে পারে। প্রকল্পে এত বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ সত্ত্বেও কাজের মান এবং সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়া প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার প্রকল্পটি অনিয়ম ও গাফিলতির এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ব্যর্থতা দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রশাসনের এখনই উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

tab

সম্পাদকীয়

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া ৪৮০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। অথচ ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি এখনও অসম্পূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য ছিল দুর্যোগপ্রবণ এলাকাটি সুরক্ষিত করা এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। তবে প্রকল্পটি সময়মতো শেষ না হওয়া এবং তদারকির অভাবে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যবহৃত সিমেন্টের কংক্রিট কভার ব্লকের মান নিশ্চিত করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১:৩:৫ অনুপাতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও, দেখা গেছে ১ বালতি সিমেন্টের সঙ্গে ৬-৭ বালতি বালু এবং ১২-১৩ বালতি পাথর কুচি মিশিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের অনুপাত মানদ-ের ঘাটতি এবং নির্মাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা প্রকল্পটিকে অকার্যকর করে তুলেছে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এক চরম উদাহরণ। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, দুর্নীতির কারণে পুরো প্রকল্পটি ব্যর্থ হতে পারে। প্রকল্পে এত বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ সত্ত্বেও কাজের মান এবং সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়া প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার প্রকল্পটি অনিয়ম ও গাফিলতির এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ব্যর্থতা দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রশাসনের এখনই উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

back to top