alt

সম্পাদকীয়

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে সেচপাম্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সেচ খরচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, সেচ প্রকল্প পরিচালকরা প্রতিবারের মতো এবারও সেচের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে বহন করা ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকরা দাবি করেছেন যে স্কিম পরিচালক কানিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৬০০ টাকা আদায় করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আশপাশের স্কিমগুলোতে কানিপ্রতি ১২০০ টাকা হার নির্ধারণ করা হলেও এই এলাকায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে চাষাবাদে কৃষকদের অর্থনৈতিক চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বোরো মৌসুমে সেচ অত্যাবশ্যক, এবং পর্যাপ্ত পানি না পেলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে কৃষকদের জীবিকা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

স্কিম পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণেই তারা সেচের খরচ বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও এই যুক্তিতে সত্যতার কিছুটা ভিত্তি থাকতে পারে, তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া অন্য স্কিমের তুলনায় এত বেশি চার্জ আদায় কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

এই পরিস্থিতি দেশের কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় অসঙ্গতি তুলে ধরে। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনের মূল কারিগর হলেও তারা প্রায়ই আর্থিক শোষণের শিকার হন। সেচের মতো মৌলিক চাহিদার জন্য অতিরিক্ত খরচ আদায় করা তাদের আর্থিকভাবে আরও দুর্বল করে তুলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এটি আশাব্যঞ্জক হলেও সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সেচ কমিটির কার্যক্রম আরও তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পাশাপাশি, স্কিম পরিচালকদের আয়ের সঠিক হিসাব এবং তাদের খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত।

সরকারের উচিত এই সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিদ্যুৎভিত্তিক সেচ প্রকল্পগুলোর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উৎসাহিত করা।

রাঙ্গুনিয়ার কৃষকদের দুর্ভোগ দেশের একটি বৃহত্তর সমস্যার প্রতিফলন। অতিরিক্ত সেচ খরচ কৃষকের জীবনযাত্রার ওপর যে প্রভাব ফেলে, তা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভঙ্গুরতা এবং ন্যায়বিচারের অভাবকে চিহ্নিত করে। কৃষকের প্রতি এই অবিচার চলতে দেয়া যায় না।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে সেচপাম্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সেচ খরচ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, সেচ প্রকল্প পরিচালকরা প্রতিবারের মতো এবারও সেচের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে বহন করা ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকরা দাবি করেছেন যে স্কিম পরিচালক কানিপ্রতি ২০০০ থেকে ২৬০০ টাকা আদায় করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আশপাশের স্কিমগুলোতে কানিপ্রতি ১২০০ টাকা হার নির্ধারণ করা হলেও এই এলাকায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে চাষাবাদে কৃষকদের অর্থনৈতিক চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, বোরো মৌসুমে সেচ অত্যাবশ্যক, এবং পর্যাপ্ত পানি না পেলে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে কৃষকদের জীবিকা এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

স্কিম পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ এবং অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণেই তারা সেচের খরচ বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও এই যুক্তিতে সত্যতার কিছুটা ভিত্তি থাকতে পারে, তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া অন্য স্কিমের তুলনায় এত বেশি চার্জ আদায় কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

এই পরিস্থিতি দেশের কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় অসঙ্গতি তুলে ধরে। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনের মূল কারিগর হলেও তারা প্রায়ই আর্থিক শোষণের শিকার হন। সেচের মতো মৌলিক চাহিদার জন্য অতিরিক্ত খরচ আদায় করা তাদের আর্থিকভাবে আরও দুর্বল করে তুলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এটি আশাব্যঞ্জক হলেও সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সেচ কমিটির কার্যক্রম আরও তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পাশাপাশি, স্কিম পরিচালকদের আয়ের সঠিক হিসাব এবং তাদের খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত।

সরকারের উচিত এই সেচ প্রকল্পগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিদ্যুৎভিত্তিক সেচ প্রকল্পগুলোর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উৎসাহিত করা।

রাঙ্গুনিয়ার কৃষকদের দুর্ভোগ দেশের একটি বৃহত্তর সমস্যার প্রতিফলন। অতিরিক্ত সেচ খরচ কৃষকের জীবনযাত্রার ওপর যে প্রভাব ফেলে, তা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভঙ্গুরতা এবং ন্যায়বিচারের অভাবকে চিহ্নিত করে। কৃষকের প্রতি এই অবিচার চলতে দেয়া যায় না।

back to top