alt

opinion » editorial

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়ার খাদ্যগুদামে গত পাঁচ বছর ধরে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের এ সংকটের কারণ কী?

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি ধানের নির্ধারিত মূল্য কৃষকদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বোরো ও আমন মৌসুমে ধানের জন্য সরকার প্রতি কেজি মূল্য নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ৩০ থেকে ৩৩ টাকা; কিন্তু স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ধানের মূল্য গড়ে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। এমন অবস্থায় কৃষকদের জন্য সরকারের কাছে ধান বিক্রি করাটা আর্থিকভাবে অযৌক্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে হলে কৃষকদের যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা বেশ জটিল। আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন ব্যয়, অনলাইন নিবন্ধন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া কৃষকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ও কষ্টসাধ্য। ফলে সহজতর প্রক্রিয়া ও বেশি দাম পেয়ে স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করাই তাদের কাছে বেশি লাভজনক।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাগাতিপাড়া উপজেলা খাদ্যগুদামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে কোনো মৌসুমেই ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমও হুমকির মুখে পড়ছে।

বাজারমূল্যে ধান বিক্রি করে কৃষকরা আপাতত কিছুটা লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে সরকারি গুদাম খালি থাকলে খাদ্যসংকট তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। গুদামে ধান সরবরাহ না হলে সরকারের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে কিনা বা জাতীয় অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ধানের দাম বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি। কৃষকদের আস্থা অর্জনে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। পরিবহন ব্যয় ও আর্দ্রতা যাচাইয়ের খরচ কমাতে কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ধান সরবরাহের জন্য অনলাইন নিবন্ধন ও ব্যাংক লেনদেনের ঝামেলা কমিয়ে সরাসরি লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের এই ব্যর্থতা কেবল একটি উপজেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাজার অর্থনীতির বাস্তবতা ও কৃষকদের সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর সমাধান গ্রহণ করা সময়ের দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত কৃষকদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা, যা সবার জন্য লাভজনক হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়ার খাদ্যগুদামে গত পাঁচ বছর ধরে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের এ সংকটের কারণ কী?

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি ধানের নির্ধারিত মূল্য কৃষকদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বোরো ও আমন মৌসুমে ধানের জন্য সরকার প্রতি কেজি মূল্য নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ৩০ থেকে ৩৩ টাকা; কিন্তু স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ধানের মূল্য গড়ে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। এমন অবস্থায় কৃষকদের জন্য সরকারের কাছে ধান বিক্রি করাটা আর্থিকভাবে অযৌক্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে হলে কৃষকদের যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা বেশ জটিল। আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন ব্যয়, অনলাইন নিবন্ধন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের প্রক্রিয়া কৃষকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ও কষ্টসাধ্য। ফলে সহজতর প্রক্রিয়া ও বেশি দাম পেয়ে স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করাই তাদের কাছে বেশি লাভজনক।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাগাতিপাড়া উপজেলা খাদ্যগুদামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে কোনো মৌসুমেই ধান সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমও হুমকির মুখে পড়ছে।

বাজারমূল্যে ধান বিক্রি করে কৃষকরা আপাতত কিছুটা লাভবান হলেও দীর্ঘমেয়াদে সরকারি গুদাম খালি থাকলে খাদ্যসংকট তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। গুদামে ধান সরবরাহ না হলে সরকারের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে কিনা বা জাতীয় অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। ধানের দাম বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা জরুরি। কৃষকদের আস্থা অর্জনে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। পরিবহন ব্যয় ও আর্দ্রতা যাচাইয়ের খরচ কমাতে কৃষকদের জন্য ভর্তুকি বা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ধান সরবরাহের জন্য অনলাইন নিবন্ধন ও ব্যাংক লেনদেনের ঝামেলা কমিয়ে সরাসরি লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের এই ব্যর্থতা কেবল একটি উপজেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাজার অর্থনীতির বাস্তবতা ও কৃষকদের সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর সমাধান গ্রহণ করা সময়ের দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত কৃষকদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা প্রণয়ন করা, যা সবার জন্য লাভজনক হবে।

back to top