alt

সম্পাদকীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন হলেও জনবল সংকটের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা যেমন ক্ষীণ হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এই ঘটনা শুধু মাদারীপুর নয়, বরং সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অপ্রিয় চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ চিকিৎসাসেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, আইসিইউ ইউনিট চালু করা তো বহুদূরের কথা। এ পরিস্থিতি শুধু মাদারীপুর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘লোকবল সংকট’ কথাটি যেন এক ধ্রুব সত্যে পরিণত হয়েছে, যা অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর জীবনের শেষ আশাটুকুও কেড়ে নিচ্ছে।

সরকারি আইসিইউ ইউনিটগুলো জনবল সংকটে বন্ধ থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো আইসিইউ সুবিধা প্রদানে প্রতিদিন ৬০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করছে। এতে দেখা যায়, যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোগীরা ন্যূনতম ব্যয়ে চিকিৎসা পেতে পারতেন, সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

উল্লিখিত হাসপাতালে জনবল সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে মাদারীপুরসহ অন্যান্য হাসপাতালের অচল আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসিইউ পরিচালনায় দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি হাজারো রোগীর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নেয়ার মতো নয়। মাদারীপুরের মতো অঞ্চলে যদি এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

tab

সম্পাদকীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন হলেও জনবল সংকটের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা যেমন ক্ষীণ হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এই ঘটনা শুধু মাদারীপুর নয়, বরং সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অপ্রিয় চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ চিকিৎসাসেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, আইসিইউ ইউনিট চালু করা তো বহুদূরের কথা। এ পরিস্থিতি শুধু মাদারীপুর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘লোকবল সংকট’ কথাটি যেন এক ধ্রুব সত্যে পরিণত হয়েছে, যা অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর জীবনের শেষ আশাটুকুও কেড়ে নিচ্ছে।

সরকারি আইসিইউ ইউনিটগুলো জনবল সংকটে বন্ধ থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো আইসিইউ সুবিধা প্রদানে প্রতিদিন ৬০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করছে। এতে দেখা যায়, যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোগীরা ন্যূনতম ব্যয়ে চিকিৎসা পেতে পারতেন, সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

উল্লিখিত হাসপাতালে জনবল সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে মাদারীপুরসহ অন্যান্য হাসপাতালের অচল আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসিইউ পরিচালনায় দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি হাজারো রোগীর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নেয়ার মতো নয়। মাদারীপুরের মতো অঞ্চলে যদি এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

back to top