মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন হলেও জনবল সংকটের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা যেমন ক্ষীণ হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এই ঘটনা শুধু মাদারীপুর নয়, বরং সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অপ্রিয় চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ চিকিৎসাসেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, আইসিইউ ইউনিট চালু করা তো বহুদূরের কথা। এ পরিস্থিতি শুধু মাদারীপুর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘লোকবল সংকট’ কথাটি যেন এক ধ্রুব সত্যে পরিণত হয়েছে, যা অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর জীবনের শেষ আশাটুকুও কেড়ে নিচ্ছে।
সরকারি আইসিইউ ইউনিটগুলো জনবল সংকটে বন্ধ থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো আইসিইউ সুবিধা প্রদানে প্রতিদিন ৬০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করছে। এতে দেখা যায়, যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোগীরা ন্যূনতম ব্যয়ে চিকিৎসা পেতে পারতেন, সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
উল্লিখিত হাসপাতালে জনবল সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে মাদারীপুরসহ অন্যান্য হাসপাতালের অচল আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসিইউ পরিচালনায় দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি হাজারো রোগীর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নেয়ার মতো নয়। মাদারীপুরের মতো অঞ্চলে যদি এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন হলেও জনবল সংকটের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষার সম্ভাবনা যেমন ক্ষীণ হচ্ছে, তেমনি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। এই ঘটনা শুধু মাদারীপুর নয়, বরং সারা দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অপ্রিয় চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ চিকিৎসাসেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, আইসিইউ ইউনিট চালু করা তো বহুদূরের কথা। এ পরিস্থিতি শুধু মাদারীপুর নয়, বরং দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ‘লোকবল সংকট’ কথাটি যেন এক ধ্রুব সত্যে পরিণত হয়েছে, যা অসংখ্য মুমূর্ষু রোগীর জীবনের শেষ আশাটুকুও কেড়ে নিচ্ছে।
সরকারি আইসিইউ ইউনিটগুলো জনবল সংকটে বন্ধ থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো আইসিইউ সুবিধা প্রদানে প্রতিদিন ৬০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করছে। এতে দেখা যায়, যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোগীরা ন্যূনতম ব্যয়ে চিকিৎসা পেতে পারতেন, সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
উল্লিখিত হাসপাতালে জনবল সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দ্রুত জনবল নিয়োগের মাধ্যমে মাদারীপুরসহ অন্যান্য হাসপাতালের অচল আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসিইউ পরিচালনায় দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা যেমন অযৌক্তিক, তেমনি হাজারো রোগীর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মেনে নেয়ার মতো নয়। মাদারীপুরের মতো অঞ্চলে যদি এই সংকট দীর্ঘায়িত হয়, তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।