alt

সম্পাদকীয়

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

: মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের বাজারব্যবস্থায় চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ও অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীতে আয়োজিত এক সংলাপে নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্যে দেশের বাজার পরিস্থিতির সংকট প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে’।

দেশের বাজারব্যবস্থায় চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, যা সরাসরি জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম একজন নেতাও এখন একই অভিযোগ করলেন।

আমরা বলতে চাই, চাঁদাবাজি এখন শুধু বাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা থেকে শুরু করে ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হয়। ফলে পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যের দামে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সারজিস আলমের বক্তব্য অনুযায়ী, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট সরাসরি রাজনৈতিক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই অভিযোগ অতীতেও ছিল।

আরও অভিযোগ আছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা কিংবা দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। যেখানে পুলিশের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চাঁদাবাজদের সঙ্গে কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বাজারব্যবস্থা, পরিবহন ও অন্যান্য খাতে চাঁদাবাজি চলতে থাকলেও প্রশাসনের নীরবতা ভাবিয়ে তোলে।

চাঁদাবাজি এখন কেবল ব্যবসায়ী ও বাজার ব্যবস্থার সমস্যা নয়, এটি জাতীয় অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বাজার থেকে শুরু করে পরিবহন, সরকারি প্রকল্পসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এই চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভাঙতে হলে সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণÑ সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের বাজারব্যবস্থায় চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ও অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজধানীতে আয়োজিত এক সংলাপে নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্যে দেশের বাজার পরিস্থিতির সংকট প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে’।

দেশের বাজারব্যবস্থায় চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, যা সরাসরি জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম একজন নেতাও এখন একই অভিযোগ করলেন।

আমরা বলতে চাই, চাঁদাবাজি এখন শুধু বাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা থেকে শুরু করে ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যান চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হয়। ফলে পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে, যার প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যের দামে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সারজিস আলমের বক্তব্য অনুযায়ী, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট সরাসরি রাজনৈতিক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই অভিযোগ অতীতেও ছিল।

আরও অভিযোগ আছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা কিংবা দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। যেখানে পুলিশের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চাঁদাবাজদের সঙ্গে কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণে চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। বাজারব্যবস্থা, পরিবহন ও অন্যান্য খাতে চাঁদাবাজি চলতে থাকলেও প্রশাসনের নীরবতা ভাবিয়ে তোলে।

চাঁদাবাজি এখন কেবল ব্যবসায়ী ও বাজার ব্যবস্থার সমস্যা নয়, এটি জাতীয় অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বাজার থেকে শুরু করে পরিবহন, সরকারি প্রকল্পসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এই চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভাঙতে হলে সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণÑ সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

back to top