alt

সম্পাদকীয়

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যে তা-ব চলছে, তা পরিবেশের জন্য চরম হুমকি হয়ে উঠেছে। পাহাড়, টিলা, নদী, ছড়াÑ সব জায়গায় নির্বিচারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনের অভিযানও এই দৌরাত্ম্য থামাতে পারছে না, বরং দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এই অবৈধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক চক্র, যা শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, বরং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, চক্রের সদস্যরা শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নদী, খাল ও ছড়া থেকে বালু তুলছে, এমনকি টিলা ও পাহাড় ধসিয়ে দিচ্ছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রথমে টিলার নিচে পানি প্রবাহিত করে, পরে ধসিয়ে দিয়ে তা থেকে বালু সংগ্রহ করছে। এভাবে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার বালু পাচার হচ্ছে, অথচ প্রশাসন মূলহোতাদের নাগাল পায় না। প্রশ্ন জাগে, কেন?

অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে চুনারুঘাট উপজেলার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসলি জমির উর্বর টপসয়েল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে, রাস্তা-ঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। চা বাগানের ছড়া ও নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষি ও চাষাবাদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে সরব, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এই সমস্যা সমাধানে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেই হবে না, মূল চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগকে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অবৈধ বালু ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক উৎস বন্ধ করার পাশাপাশি, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশাসন যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে চুনারুঘাটের পাহাড়-টিলা একসময় পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। শুধু আইন প্রয়োগ করলেই হবে না, স্থানীয় জনগণকেও সচেতন ও সংগঠিত করতে হবে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এই পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চলতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক কঠোরতা ছাড়া এই দুর্যোগ থামানো সম্ভব নয়। এখনই সময় দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ারÑ না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবেশের উত্তরাধিকারী হবে।ু

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যে তা-ব চলছে, তা পরিবেশের জন্য চরম হুমকি হয়ে উঠেছে। পাহাড়, টিলা, নদী, ছড়াÑ সব জায়গায় নির্বিচারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনের অভিযানও এই দৌরাত্ম্য থামাতে পারছে না, বরং দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এই অবৈধ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক চক্র, যা শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, বরং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, চক্রের সদস্যরা শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নদী, খাল ও ছড়া থেকে বালু তুলছে, এমনকি টিলা ও পাহাড় ধসিয়ে দিচ্ছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রথমে টিলার নিচে পানি প্রবাহিত করে, পরে ধসিয়ে দিয়ে তা থেকে বালু সংগ্রহ করছে। এভাবে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার বালু পাচার হচ্ছে, অথচ প্রশাসন মূলহোতাদের নাগাল পায় না। প্রশ্ন জাগে, কেন?

অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে চুনারুঘাট উপজেলার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসলি জমির উর্বর টপসয়েল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে, রাস্তা-ঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। চা বাগানের ছড়া ও নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষি ও চাষাবাদেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে সরব, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এই সমস্যা সমাধানে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেই হবে না, মূল চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগকে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অবৈধ বালু ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক উৎস বন্ধ করার পাশাপাশি, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশাসন যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে চুনারুঘাটের পাহাড়-টিলা একসময় পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। শুধু আইন প্রয়োগ করলেই হবে না, স্থানীয় জনগণকেও সচেতন ও সংগঠিত করতে হবে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এই পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ চলতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক কঠোরতা ছাড়া এই দুর্যোগ থামানো সম্ভব নয়। এখনই সময় দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ারÑ না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবেশের উত্তরাধিকারী হবে।ু

back to top