সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে এখন বোরো ধানের সমারোহ। শ্রম আর ঘামে ফলানো এই সোনার ধান বৈশাখে গোলায় তুলে জীবন-জীবিকার স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা; কিন্তু হাওরের বুক চিরে চলমান সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ তাদের সেই স্বপ্নকে বিপন্ন করেছে। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক প্রকল্পে জমির ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, ফসল নষ্টের বিষয়েও কৃষকদের কথা শোনার কেউ নেই। এটি শুধু কৃষকদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।
কৃষক ও পরিবেশবাদীদের আপত্তি স্পষ্ট। হাওরের মাঝখান দিয়ে এমন সড়ক নির্মাণে শুধু ফসলি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, বর্ষায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হাওরের জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ব্যবস্থার সর্বনাশ ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে, অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণের কোনো বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।
এমন একটি প্রকল্প কিভাবে পরিকল্পিত হলো, যেখানে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা বা পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? জাইকার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? উন্নয়নের নামে কৃষক ও প্রকৃতির ক্ষতি করে কোন সড়ক কি সত্যিই জনকল্যাণ বয়ে আনতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কৃষকেরা শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, হাওরের পানিপ্রবাহ ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রাখার নিশ্চয়তাও চান। সরকারের উচিত এ দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে এখন বোরো ধানের সমারোহ। শ্রম আর ঘামে ফলানো এই সোনার ধান বৈশাখে গোলায় তুলে জীবন-জীবিকার স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা; কিন্তু হাওরের বুক চিরে চলমান সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ তাদের সেই স্বপ্নকে বিপন্ন করেছে। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক প্রকল্পে জমির ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, ফসল নষ্টের বিষয়েও কৃষকদের কথা শোনার কেউ নেই। এটি শুধু কৃষকদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।
কৃষক ও পরিবেশবাদীদের আপত্তি স্পষ্ট। হাওরের মাঝখান দিয়ে এমন সড়ক নির্মাণে শুধু ফসলি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, বর্ষায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হাওরের জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ব্যবস্থার সর্বনাশ ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে, অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণের কোনো বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।
এমন একটি প্রকল্প কিভাবে পরিকল্পিত হলো, যেখানে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা বা পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? জাইকার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? উন্নয়নের নামে কৃষক ও প্রকৃতির ক্ষতি করে কোন সড়ক কি সত্যিই জনকল্যাণ বয়ে আনতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কৃষকেরা শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, হাওরের পানিপ্রবাহ ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রাখার নিশ্চয়তাও চান। সরকারের উচিত এ দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।