alt

সম্পাদকীয়

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

: রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব যেন একটি নীরব সংকটের চিত্র তুলে ধরেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে গত পাঁচ দিনে ৪৪ জন রোগী, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তীব্র গরম, পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট এই প্রাদুর্ভাবের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু যে হাসপাতালে রোগীরা সুস্থতার আশায় ছুটে আসছেন, সেখানেই কলেরার স্যালাইন ও খাবার পানির সংকটে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই ঘটনা দেশের প্রান্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাকে আরও একবার প্রকাশ করেছে।

গতকাল সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই, এমনকি খাবার পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে রোগীদের স্বজনদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্যালাইন সরবরাহের অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে চাহিদা দেয়া হলেও সরবরাহ পৌঁছায়নি। খাবার পানির সংকটের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের সময় ফিল্টার সংরক্ষণে সমস্যাকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য? একটি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি ওষুধের মতো মৌলিক চাহিদা মেটানোর বিকল্প ব্যবস্থা কেন প্রস্তুত রাখা হলো না? সরবরাহ বিলম্বিত হলে তার দায় কার?

এই সংকট শুধু মোরেলগঞ্জের নয়, বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি বড় চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়বে, এটি পূর্বাভাসযোগ্য ছিল। তবু প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকা উদাসীনতারই প্রমাণ। রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে বাধ্য করা শুধু আর্থিক চাপই নয়, সময়ক্ষেপণের কারণে অনেকের জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে অবিলম্বে স্যালাইন ও খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল সামগ্রীর মজুত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিশুদ্ধ পানির জন্য বিকল্প উৎস, যেমন টিউবওয়েল বা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, দ্রুত চালু করা দরকার। সর্বোপরি, জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ পানি ব্যবহারে মানুষ উৎসাহিত হয়।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব যেন একটি নীরব সংকটের চিত্র তুলে ধরেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে গত পাঁচ দিনে ৪৪ জন রোগী, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তীব্র গরম, পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট এই প্রাদুর্ভাবের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু যে হাসপাতালে রোগীরা সুস্থতার আশায় ছুটে আসছেন, সেখানেই কলেরার স্যালাইন ও খাবার পানির সংকটে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। এই ঘটনা দেশের প্রান্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাকে আরও একবার প্রকাশ করেছে।

গতকাল সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই, এমনকি খাবার পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে রোগীদের স্বজনদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্যালাইন সরবরাহের অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে চাহিদা দেয়া হলেও সরবরাহ পৌঁছায়নি। খাবার পানির সংকটের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের সময় ফিল্টার সংরক্ষণে সমস্যাকে দায়ী করা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য? একটি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও জরুরি ওষুধের মতো মৌলিক চাহিদা মেটানোর বিকল্প ব্যবস্থা কেন প্রস্তুত রাখা হলো না? সরবরাহ বিলম্বিত হলে তার দায় কার?

এই সংকট শুধু মোরেলগঞ্জের নয়, বাংলাদেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি বড় চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়বে, এটি পূর্বাভাসযোগ্য ছিল। তবু প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকা উদাসীনতারই প্রমাণ। রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে বাধ্য করা শুধু আর্থিক চাপই নয়, সময়ক্ষেপণের কারণে অনেকের জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে অবিলম্বে স্যালাইন ও খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীণ হাসপাতালগুলোতে জরুরি মেডিকেল সামগ্রীর মজুত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বিশুদ্ধ পানির জন্য বিকল্প উৎস, যেমন টিউবওয়েল বা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, দ্রুত চালু করা দরকার। সর্বোপরি, জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ পানি ব্যবহারে মানুষ উৎসাহিত হয়।

back to top