alt

সম্পাদকীয়

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

: বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার’ নামের একটি ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাগ্য ভালো, এবার কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ভবন থেকে ১৮ জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল।

তবে এই ঘটনায় আবারও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ঠিক এক বছর আগেই বেইলি রোডের আরেকটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন মানুষ মারা যান। সে সময় অনেকেই ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। অনেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাননি।

সেই ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ভবন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আবার একই এলাকায় এভাবে আগুন লাগা আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে।

এবার ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নেভাতে পেরেছে। তবে ভবন ব্যবস্থাপনা কতটা প্রস্তুত ছিল, তা এখন পর্যালোচনা দরকার। আগুন কোথা থেকে শুরু হয়েছিল, তাও এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে এবং অনেক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েÑএটা স্পষ্ট।

আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি ভবনে শুধু দোকান, রেস্টুরেন্ট বা বাসা থাকলেই হবে না। তার সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটাও দেখা জরুরি। আগুন লাগলে বের হওয়ার পথ খোলা আছে কিনা, ফায়ার সার্ভিস সহজে ঢুকতে পারবে কিনাÑএসব বিষয় আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভবন মালিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রশাসনেরও নিয়মিত তদারকি দরকার। শুধু দুর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নিলে হবে না। আগেই সাবধান হওয়া উচিত।

এই ঘটনার পর আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে বিষয়গুলো ভাববে। ভবন মালিক, ব্যবস্থাপক ও সরকারি দপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। আমরা চাই, শহরের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করুক।

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

tab

সম্পাদকীয়

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

রাজধানীর বেইলি রোডে ‘ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার’ নামের একটি ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাগ্য ভালো, এবার কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ভবন থেকে ১৮ জন মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল।

তবে এই ঘটনায় আবারও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ঠিক এক বছর আগেই বেইলি রোডের আরেকটি ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জন মানুষ মারা যান। সে সময় অনেকেই ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। অনেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাননি।

সেই ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ভবন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আবার একই এলাকায় এভাবে আগুন লাগা আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে।

এবার ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নেভাতে পেরেছে। তবে ভবন ব্যবস্থাপনা কতটা প্রস্তুত ছিল, তা এখন পর্যালোচনা দরকার। আগুন কোথা থেকে শুরু হয়েছিল, তাও এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে এবং অনেক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েÑএটা স্পষ্ট।

আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি ভবনে শুধু দোকান, রেস্টুরেন্ট বা বাসা থাকলেই হবে না। তার সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটাও দেখা জরুরি। আগুন লাগলে বের হওয়ার পথ খোলা আছে কিনা, ফায়ার সার্ভিস সহজে ঢুকতে পারবে কিনাÑএসব বিষয় আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভবন মালিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রশাসনেরও নিয়মিত তদারকি দরকার। শুধু দুর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নিলে হবে না। আগেই সাবধান হওয়া উচিত।

এই ঘটনার পর আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে বিষয়গুলো ভাববে। ভবন মালিক, ব্যবস্থাপক ও সরকারি দপ্তরগুলো একসঙ্গে কাজ করলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। আমরা চাই, শহরের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করুক।

back to top