alt

সম্পাদকীয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

রাজধানীসহ সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধ যেভাবে প্রকাশ্য ও সহিংস হয়ে উঠছে, তা জননিরাপত্তার জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। মিরপুরে দিনে-দুপুরে এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই, মগবাজারে চাপাতির কোপে ব্যাগ ছিনতাই কিংবা বাড্ডায় রাজনৈতিক নেতা হত্যার মতো ঘটনাগুলো স্পষ্ট করছেÑঅপরাধীরা আইনকে ভয় পাচ্ছে না, বরং চ্যালেঞ্জ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় অপরাধের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রায় ৬,৫০০ মামলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শতাধিক হত্যাকা-, শত শত চুরি, ডাকাতি ও অপহরণ। জাতীয় পর্যায়ে এপ্রিল মাসেই মামলা হয়েছে ১৬ হাজারের বেশি, যার মধ্যে তিন শতাধিক হত্যা মামলা। এই সংখ্যাগুলো শুধু সংখ্যাতাত্ত্বিক নয়; এগুলো প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া সহিংস বাস্তবতার প্রতিফলন। পাশাপাশি, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার মতো ঘটনাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা প্রতিটি ঘটনার পরপরই ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছে। কিন্তু এসব বিবৃতি বাস্তবতা প্রতিফলনে যথেষ্ট নয়, যখন একই ধরনের অপরাধ প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক নৃশংস ঘটনার ফুটেজ ভাইরাল হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও মাঠপর্যায়ে এর প্রতিফলন এখনো লক্ষণীয় নয়। অপরদিকে, কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মাসুদ মোল্লার গ্রেপ্তার ইঙ্গিত দেয়, সন্ত্রাসীরা এখন বিভিন্ন শহরে নতুন করে ঘাঁটি গাড়ছে এবং কখনো আত্মীয়তার ছদ্মবেশে, কখনো ব্যবসার ছায়ায় থেকে আত্মগোপনে রয়েছে।

রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং সর্বোপরি নাগরিক আস্থার ভিত্তিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সুতরাং, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত, সুসংহত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। এই প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুধু বাহ্যিক কার্যক্রম নয়, প্রশাসনিক নীতিমালারও গভীর পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

রাজধানীসহ সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধ যেভাবে প্রকাশ্য ও সহিংস হয়ে উঠছে, তা জননিরাপত্তার জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। মিরপুরে দিনে-দুপুরে এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই, মগবাজারে চাপাতির কোপে ব্যাগ ছিনতাই কিংবা বাড্ডায় রাজনৈতিক নেতা হত্যার মতো ঘটনাগুলো স্পষ্ট করছেÑঅপরাধীরা আইনকে ভয় পাচ্ছে না, বরং চ্যালেঞ্জ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় অপরাধের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রায় ৬,৫০০ মামলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শতাধিক হত্যাকা-, শত শত চুরি, ডাকাতি ও অপহরণ। জাতীয় পর্যায়ে এপ্রিল মাসেই মামলা হয়েছে ১৬ হাজারের বেশি, যার মধ্যে তিন শতাধিক হত্যা মামলা। এই সংখ্যাগুলো শুধু সংখ্যাতাত্ত্বিক নয়; এগুলো প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া সহিংস বাস্তবতার প্রতিফলন। পাশাপাশি, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার মতো ঘটনাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা প্রতিটি ঘটনার পরপরই ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছে। কিন্তু এসব বিবৃতি বাস্তবতা প্রতিফলনে যথেষ্ট নয়, যখন একই ধরনের অপরাধ প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক নৃশংস ঘটনার ফুটেজ ভাইরাল হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও মাঠপর্যায়ে এর প্রতিফলন এখনো লক্ষণীয় নয়। অপরদিকে, কুষ্টিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মাসুদ মোল্লার গ্রেপ্তার ইঙ্গিত দেয়, সন্ত্রাসীরা এখন বিভিন্ন শহরে নতুন করে ঘাঁটি গাড়ছে এবং কখনো আত্মীয়তার ছদ্মবেশে, কখনো ব্যবসার ছায়ায় থেকে আত্মগোপনে রয়েছে।

রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং সর্বোপরি নাগরিক আস্থার ভিত্তিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সুতরাং, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত, সুসংহত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। এই প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুধু বাহ্যিক কার্যক্রম নয়, প্রশাসনিক নীতিমালারও গভীর পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।

back to top