alt

সম্পাদকীয়





























  • download

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

: সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সার হচ্ছে চাষাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মৌলিক উপকরণ সরবরাহে প্রায়ই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর প্রভাব পড়ে প্রান্তিক কৃষকের জীবনে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলারদের কার্যক্রম সেই অনিয়মেরই একটি উদাহরণ।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মোট ৪৮ জন সার ডিলার থাকলেও তাদের অধিকাংশই নিয়ম না মেনে পৌর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে ইউনিয়নের কৃষকরা নিজ এলাকায় নির্ধারিত মূল্যে সার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউনে সার মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হয়। কোথাও কোথাও ডিও বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এমন অনিয়মের ফলে কৃষকদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে দূর থেকে সার আনতে হচ্ছে। এছাড়া সঠিক সময়ে সার না পেলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।

প্রশ্ন হলো, বছরের পর বছর ধরে কেন এই অনিয়ম চলে আসছে? কেন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নজরদারি করতে পারছে না? উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ডিলারদের নিজ নিজ ইউনিয়নে ফিরে গিয়ে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ডিলাররা চতুরতার সঙ্গে নিয়ম ভাঙছেন। সাইনবোর্ড টানিয়ে ইউনিয়নে কার্যক্রম আছে এমন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ব্যবসা চলে পৌর এলাকায়। সার বিক্রির এই অনিয়ম রোধে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা বলতে চাই, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও কঠোর হতে হবে। আইন অনুযায়ী যারা ইউনিয়নে গিয়ে সার বিক্রি করবেন না, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। নিয়মিত নজরদারি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমেও এই অনিয়ম দমন করা সম্ভব। শুধু সার বরাদ্দ দিলেই চলবে নাÑসার যেন সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এবং সঠিক মূল্যে কৃষকের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

  • download

সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সার হচ্ছে চাষাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মৌলিক উপকরণ সরবরাহে প্রায়ই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর প্রভাব পড়ে প্রান্তিক কৃষকের জীবনে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলারদের কার্যক্রম সেই অনিয়মেরই একটি উদাহরণ।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মোট ৪৮ জন সার ডিলার থাকলেও তাদের অধিকাংশই নিয়ম না মেনে পৌর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে ইউনিয়নের কৃষকরা নিজ এলাকায় নির্ধারিত মূল্যে সার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউনে সার মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হয়। কোথাও কোথাও ডিও বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এমন অনিয়মের ফলে কৃষকদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে দূর থেকে সার আনতে হচ্ছে। এছাড়া সঠিক সময়ে সার না পেলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।

প্রশ্ন হলো, বছরের পর বছর ধরে কেন এই অনিয়ম চলে আসছে? কেন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নজরদারি করতে পারছে না? উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ডিলারদের নিজ নিজ ইউনিয়নে ফিরে গিয়ে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ডিলাররা চতুরতার সঙ্গে নিয়ম ভাঙছেন। সাইনবোর্ড টানিয়ে ইউনিয়নে কার্যক্রম আছে এমন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ব্যবসা চলে পৌর এলাকায়। সার বিক্রির এই অনিয়ম রোধে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা বলতে চাই, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও কঠোর হতে হবে। আইন অনুযায়ী যারা ইউনিয়নে গিয়ে সার বিক্রি করবেন না, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। নিয়মিত নজরদারি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমেও এই অনিয়ম দমন করা সম্ভব। শুধু সার বরাদ্দ দিলেই চলবে নাÑসার যেন সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এবং সঠিক মূল্যে কৃষকের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

back to top