সার হচ্ছে চাষাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মৌলিক উপকরণ সরবরাহে প্রায়ই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর প্রভাব পড়ে প্রান্তিক কৃষকের জীবনে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলারদের কার্যক্রম সেই অনিয়মেরই একটি উদাহরণ।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মোট ৪৮ জন সার ডিলার থাকলেও তাদের অধিকাংশই নিয়ম না মেনে পৌর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে ইউনিয়নের কৃষকরা নিজ এলাকায় নির্ধারিত মূল্যে সার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউনে সার মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হয়। কোথাও কোথাও ডিও বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এমন অনিয়মের ফলে কৃষকদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে দূর থেকে সার আনতে হচ্ছে। এছাড়া সঠিক সময়ে সার না পেলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন হলো, বছরের পর বছর ধরে কেন এই অনিয়ম চলে আসছে? কেন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নজরদারি করতে পারছে না? উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ডিলারদের নিজ নিজ ইউনিয়নে ফিরে গিয়ে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ডিলাররা চতুরতার সঙ্গে নিয়ম ভাঙছেন। সাইনবোর্ড টানিয়ে ইউনিয়নে কার্যক্রম আছে এমন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ব্যবসা চলে পৌর এলাকায়। সার বিক্রির এই অনিয়ম রোধে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা বলতে চাই, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও কঠোর হতে হবে। আইন অনুযায়ী যারা ইউনিয়নে গিয়ে সার বিক্রি করবেন না, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। নিয়মিত নজরদারি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমেও এই অনিয়ম দমন করা সম্ভব। শুধু সার বরাদ্দ দিলেই চলবে নাÑসার যেন সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এবং সঠিক মূল্যে কৃষকের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সার হচ্ছে চাষাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মৌলিক উপকরণ সরবরাহে প্রায়ই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর প্রভাব পড়ে প্রান্তিক কৃষকের জীবনে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলারদের কার্যক্রম সেই অনিয়মেরই একটি উদাহরণ।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মোট ৪৮ জন সার ডিলার থাকলেও তাদের অধিকাংশই নিয়ম না মেনে পৌর এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে ইউনিয়নের কৃষকরা নিজ এলাকায় নির্ধারিত মূল্যে সার পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গোডাউনে সার মজুত থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা হয়। কোথাও কোথাও ডিও বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এমন অনিয়মের ফলে কৃষকদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে দূর থেকে সার আনতে হচ্ছে। এছাড়া সঠিক সময়ে সার না পেলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
প্রশ্ন হলো, বছরের পর বছর ধরে কেন এই অনিয়ম চলে আসছে? কেন কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নজরদারি করতে পারছে না? উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ডিলারদের নিজ নিজ ইউনিয়নে ফিরে গিয়ে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। ডিলাররা চতুরতার সঙ্গে নিয়ম ভাঙছেন। সাইনবোর্ড টানিয়ে ইউনিয়নে কার্যক্রম আছে এমন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ব্যবসা চলে পৌর এলাকায়। সার বিক্রির এই অনিয়ম রোধে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।
আমরা বলতে চাই, কৃষকদের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও কঠোর হতে হবে। আইন অনুযায়ী যারা ইউনিয়নে গিয়ে সার বিক্রি করবেন না, তাদের ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। নিয়মিত নজরদারি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমেও এই অনিয়ম দমন করা সম্ভব। শুধু সার বরাদ্দ দিলেই চলবে নাÑসার যেন সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এবং সঠিক মূল্যে কৃষকের হাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।