গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক ভারিবর্ষণে রাজধানী ঢাকাসহ ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বাসাবাড়ি, স্কুল, অফিস, দোকানÑ কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী, ও সাধারণ মানুষ।
রাজধানী ঢাকাতে রাতভর বৃষ্টিতে বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মহাখালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। খুলনায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া ৮২৪ কোটি টাকার প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও নগরবাসী কোমর পানিতে নাকাল হচ্ছেন। ফেনীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে, পানি ঢুকেছে বাড়িঘরেও। নোয়াখালীতে অলিগলি থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত জলমগ্ন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনগুলো প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়; কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সেসব কাজ সময়মতো শুরু হয় না, কিংবা যেনতেনভাবে সম্পন্ন হয়। ফলে নাগরিকরা তার সুফল পান না।
বিশেষত ঢাকায় জলাবদ্ধতা যেন এক প্রকার নৈমিত্তিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরই কিছুটা বৃষ্টি হলেই শহরের বড় অংশ পানির নিচে চলে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এত পরিকল্পনার পরও কেন নগরবাসী প্রতিবার একই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে?
জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত নগর ব্যবস্থাপনা। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে প্রকৃত অর্থে ‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট’ করে তুলতে হবে। সঠিক নকশা, সময়মতো বাস্তবায়ন, পরিবেশসম্মত পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রকল্প পরিচালনার বিকল্প নেই। একইসঙ্গে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি। নালা-নর্দমায় বর্জ্য ফেলা হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
জলাবদ্ধতা যদি প্রতিবছরই একইভাবে জনজীবন অচল করে দেয়, তবে এটা প্রকৃতির না, আমাদের ব্যর্থতার ফল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতা মোকাবিলায় আমরা কতটা প্রস্তুত?
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক ভারিবর্ষণে রাজধানী ঢাকাসহ ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বাসাবাড়ি, স্কুল, অফিস, দোকানÑ কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী, ও সাধারণ মানুষ।
রাজধানী ঢাকাতে রাতভর বৃষ্টিতে বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মহাখালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। খুলনায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া ৮২৪ কোটি টাকার প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও নগরবাসী কোমর পানিতে নাকাল হচ্ছেন। ফেনীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে, পানি ঢুকেছে বাড়িঘরেও। নোয়াখালীতে অলিগলি থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত জলমগ্ন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনগুলো প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়; কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সেসব কাজ সময়মতো শুরু হয় না, কিংবা যেনতেনভাবে সম্পন্ন হয়। ফলে নাগরিকরা তার সুফল পান না।
বিশেষত ঢাকায় জলাবদ্ধতা যেন এক প্রকার নৈমিত্তিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরই কিছুটা বৃষ্টি হলেই শহরের বড় অংশ পানির নিচে চলে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এত পরিকল্পনার পরও কেন নগরবাসী প্রতিবার একই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে?
জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদি ও সমন্বিত নগর ব্যবস্থাপনা। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে প্রকৃত অর্থে ‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট’ করে তুলতে হবে। সঠিক নকশা, সময়মতো বাস্তবায়ন, পরিবেশসম্মত পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রকল্প পরিচালনার বিকল্প নেই। একইসঙ্গে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি। নালা-নর্দমায় বর্জ্য ফেলা হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
জলাবদ্ধতা যদি প্রতিবছরই একইভাবে জনজীবন অচল করে দেয়, তবে এটা প্রকৃতির না, আমাদের ব্যর্থতার ফল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতা মোকাবিলায় আমরা কতটা প্রস্তুত?