দেশে বর্ষা মানেই দুর্যোগের প্রস্তুতি। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, সাতক্ষীরা ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় যে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা শুধু অতিবৃষ্টির কারণে নয়, বরং অব্যবস্থাপনার ফল।
বিশেষত ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী, কহুয়া ও সেলোনিয়া নদীর ২০টির বেশি বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি, অনেকে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রশাসনের হিসাবে ১১ হাজারের বেশি মানুষ দুর্যোগকবলিত হলেও স্থানীয়রা বলছেন, বাস্তব সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর দ্রুত পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। প্রশ্ন হলোÑগত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলোর কি সংস্কার করা হয়েছিল?
অভিযোগ রয়েছে, পুরনো বাঁধগুলো সময়মতো সংস্কার হয়নি। জরুরি পূর্বপ্রস্তুতির ঘাটতি ছিল বলে জানা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারলে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না বলে অনেকে মনে করেন।
শুধু ফেনী নয়, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, রাঙামাটি ও কুমিল্লাতেও দেখা দিয়েছে একই চিত্র। কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, কোথাও রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সাতক্ষীরায় পৌরসভার এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। কুমিল্লার গোমতী নদীতে প্রতি ঘণ্টায় পানি বাড়ছে ১০ সেন্টিমিটার হারে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ঢলে নিচু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি, অথচ আগেই ভেঙে পড়ছে বাঁধ, ডুবে যাচ্ছে জনপদ। ত্রাণ বিতরণ ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে অনেক দুর্গত মানুষ সেখানে পৌঁছাতেও পারেননি। কোথাও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, কোথাও নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। সংকটকালে এসব সেবা অচল থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কেবল বাড়ে।
এই পরিস্থিতি নতুন নয়। প্রতি বছর একই এলাকায় বন্যা হয়, বাঁধ ভাঙে, মানুষ গৃহহীন হয়। কিন্তু প্রতিবারই তাৎক্ষণিক ত্রাণ, আশ্বাস, কিছু চাল ও নগদ অর্থের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা হয়। দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় না। ফলে বছর ঘুরলেই আবার দুর্ভোগ। বন্যাকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে নদী খনন, টেকসই বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি, আগাম পূর্বাভাস ব্যবস্থা, এবং কার্যকর সাড়া দেয়ার সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
দেশে বর্ষা মানেই দুর্যোগের প্রস্তুতি। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, সাতক্ষীরা ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় যে জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা শুধু অতিবৃষ্টির কারণে নয়, বরং অব্যবস্থাপনার ফল।
বিশেষত ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী, কহুয়া ও সেলোনিয়া নদীর ২০টির বেশি বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি, অনেকে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রশাসনের হিসাবে ১১ হাজারের বেশি মানুষ দুর্যোগকবলিত হলেও স্থানীয়রা বলছেন, বাস্তব সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর দ্রুত পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। প্রশ্ন হলোÑগত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলোর কি সংস্কার করা হয়েছিল?
অভিযোগ রয়েছে, পুরনো বাঁধগুলো সময়মতো সংস্কার হয়নি। জরুরি পূর্বপ্রস্তুতির ঘাটতি ছিল বলে জানা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারলে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না বলে অনেকে মনে করেন।
শুধু ফেনী নয়, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, রাঙামাটি ও কুমিল্লাতেও দেখা দিয়েছে একই চিত্র। কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, কোথাও রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সাতক্ষীরায় পৌরসভার এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। কুমিল্লার গোমতী নদীতে প্রতি ঘণ্টায় পানি বাড়ছে ১০ সেন্টিমিটার হারে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ঢলে নিচু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি, অথচ আগেই ভেঙে পড়ছে বাঁধ, ডুবে যাচ্ছে জনপদ। ত্রাণ বিতরণ ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে অনেক দুর্গত মানুষ সেখানে পৌঁছাতেও পারেননি। কোথাও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, কোথাও নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। সংকটকালে এসব সেবা অচল থাকলে মানুষের দুর্ভোগ কেবল বাড়ে।
এই পরিস্থিতি নতুন নয়। প্রতি বছর একই এলাকায় বন্যা হয়, বাঁধ ভাঙে, মানুষ গৃহহীন হয়। কিন্তু প্রতিবারই তাৎক্ষণিক ত্রাণ, আশ্বাস, কিছু চাল ও নগদ অর্থের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা হয়। দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় না। ফলে বছর ঘুরলেই আবার দুর্ভোগ। বন্যাকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে নদী খনন, টেকসই বাঁধ নির্মাণ, দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি, আগাম পূর্বাভাস ব্যবস্থা, এবং কার্যকর সাড়া দেয়ার সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।