alt

সম্পাদকীয়

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

: শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন এবং প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ফলাফলে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত ১৫ বছরে সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৪ হাজার কমে এসেছে। দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউই পাস করতে পারেনি। আবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আগের তুলনায় কমেছে।

এসব পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক হলেও এর পেছনের বাস্তব কারণগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা জরুরি। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ একে ফল ‘বিপর্যয়’ হিসেবে দেখতে নারাজ। তারা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের বাস্তবতা মেনে আগামীর পথ খুঁজে নেয়াকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন।

বলা হচ্ছে, এবারের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারেনি। করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাÑএসব কারণে শিক্ষাদানের ধারাবাহিকতা ব্যহত হয়েছে।

এবার গণিতের মতো বাধ্যতামূলক বিষয়ে প্রশ্নপত্র অপেক্ষাকৃত কঠিন হওয়ায় পাসের হার কমেছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে এবার ‘উদার নীতি’ ছিল না। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, আগে যেমন নমনীয়তা দেখা যেত, এবার সেটা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত যোগ্যতার নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যারা ভালো ফল করেছে তাদের অভিনন্দন জানাই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোযোগ ধরে রেখে সাফল্য অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত অগ্রগতি লক্ষণীয়। পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুদিকেই মেয়েরা ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে।

যারা কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরীক্ষায় পাস না করাকে জীবনের ব্যর্থতা মনে করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এটি হোক আত্মসমালোচনার সুযোগ এবং পরবর্তী প্রস্তুতির প্রেরণা। প্রকৃত শিক্ষা মানে শুধু নম্বর অর্জন নয়, জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই ফলাফল আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা ও সংকটগুলো আবারও সামনে এনেছে। একটি জাতির অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ, সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম এবং প্রতিটি শ্রেণীর জন্য উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, ট্রমা মোকাবিলা এবং সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

tab

সম্পাদকীয়

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন এবং প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ফলাফলে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত ১৫ বছরে সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৪ হাজার কমে এসেছে। দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউই পাস করতে পারেনি। আবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আগের তুলনায় কমেছে।

এসব পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক হলেও এর পেছনের বাস্তব কারণগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা জরুরি। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ একে ফল ‘বিপর্যয়’ হিসেবে দেখতে নারাজ। তারা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের বাস্তবতা মেনে আগামীর পথ খুঁজে নেয়াকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন।

বলা হচ্ছে, এবারের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত থাকতে পারেনি। করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাÑএসব কারণে শিক্ষাদানের ধারাবাহিকতা ব্যহত হয়েছে।

এবার গণিতের মতো বাধ্যতামূলক বিষয়ে প্রশ্নপত্র অপেক্ষাকৃত কঠিন হওয়ায় পাসের হার কমেছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নে এবার ‘উদার নীতি’ ছিল না। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, আগে যেমন নমনীয়তা দেখা যেত, এবার সেটা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের তাদের প্রকৃত যোগ্যতার নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যারা ভালো ফল করেছে তাদের অভিনন্দন জানাই। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোযোগ ধরে রেখে সাফল্য অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অব্যাহত অগ্রগতি লক্ষণীয়। পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুদিকেই মেয়েরা ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে।

যারা কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করতে পারেনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পরীক্ষায় পাস না করাকে জীবনের ব্যর্থতা মনে করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এটি হোক আত্মসমালোচনার সুযোগ এবং পরবর্তী প্রস্তুতির প্রেরণা। প্রকৃত শিক্ষা মানে শুধু নম্বর অর্জন নয়, জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই ফলাফল আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা ও সংকটগুলো আবারও সামনে এনেছে। একটি জাতির অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ, সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম এবং প্রতিটি শ্রেণীর জন্য উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, ট্রমা মোকাবিলা এবং সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।

back to top