alt

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

: শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে শতাধিক মানুষের সামনে, হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে। এই ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাব, অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক পরিচয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

একই দিন খুলনায় আরেকটি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে, যেখানে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, চাঁদপুরে এক খতিবকে মসজিদের ভেতরেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে ধর্মীয় বক্তব্য নিয়ে বিরোধের জেরে।

এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যেসব বিষয় সামনে আসে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত সমস্যা হলো বিচারহীনতা। অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় কিংবা রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায় না। ফলস্বরূপ, অপরাধীরা মনে করেÑকিছু সময় গা-ঢাকা দিলে কিংবা দলীয় সমর্থন থাকলে শাস্তি এড়ানো সম্ভব।

এই মনোভাব অপরাধকে উৎসাহিত করে এবং সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। দৃষ্টান্তমূলক ও দ্রুত বিচার ছাড়া এই প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।

সাম্প্রতিক প্রতিটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব শেষ হয় না। প্রশ্ন থেকে যায়Ñএই সদস্যদের অপরাধপ্রবণতা কি আগে দলীয় কাঠামোতে নজরে আসেনি?

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সামাজিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক অপরাধ রোধ সম্ভব নয়। প্রশাসনকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, প্রকাশ্যে হত্যা বা ধর্মের অপব্যাখ্যায় সহিংসতার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে শিথিলতা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

tab

সম্পাদকীয়

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে শতাধিক মানুষের সামনে, হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে। এই ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাব, অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক পরিচয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

একই দিন খুলনায় আরেকটি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে, যেখানে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, চাঁদপুরে এক খতিবকে মসজিদের ভেতরেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে ধর্মীয় বক্তব্য নিয়ে বিরোধের জেরে।

এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যেসব বিষয় সামনে আসে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত সমস্যা হলো বিচারহীনতা। অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় কিংবা রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায় না। ফলস্বরূপ, অপরাধীরা মনে করেÑকিছু সময় গা-ঢাকা দিলে কিংবা দলীয় সমর্থন থাকলে শাস্তি এড়ানো সম্ভব।

এই মনোভাব অপরাধকে উৎসাহিত করে এবং সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। দৃষ্টান্তমূলক ও দ্রুত বিচার ছাড়া এই প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।

সাম্প্রতিক প্রতিটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব শেষ হয় না। প্রশ্ন থেকে যায়Ñএই সদস্যদের অপরাধপ্রবণতা কি আগে দলীয় কাঠামোতে নজরে আসেনি?

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সামাজিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক অপরাধ রোধ সম্ভব নয়। প্রশাসনকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, প্রকাশ্যে হত্যা বা ধর্মের অপব্যাখ্যায় সহিংসতার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে শিথিলতা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

back to top