রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে শতাধিক মানুষের সামনে, হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে। এই ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাব, অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক পরিচয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
একই দিন খুলনায় আরেকটি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে, যেখানে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, চাঁদপুরে এক খতিবকে মসজিদের ভেতরেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে ধর্মীয় বক্তব্য নিয়ে বিরোধের জেরে।
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যেসব বিষয় সামনে আসে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত সমস্যা হলো বিচারহীনতা। অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় কিংবা রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায় না। ফলস্বরূপ, অপরাধীরা মনে করেÑকিছু সময় গা-ঢাকা দিলে কিংবা দলীয় সমর্থন থাকলে শাস্তি এড়ানো সম্ভব।
এই মনোভাব অপরাধকে উৎসাহিত করে এবং সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। দৃষ্টান্তমূলক ও দ্রুত বিচার ছাড়া এই প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সাম্প্রতিক প্রতিটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব শেষ হয় না। প্রশ্ন থেকে যায়Ñএই সদস্যদের অপরাধপ্রবণতা কি আগে দলীয় কাঠামোতে নজরে আসেনি?
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সামাজিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক অপরাধ রোধ সম্ভব নয়। প্রশাসনকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, প্রকাশ্যে হত্যা বা ধর্মের অপব্যাখ্যায় সহিংসতার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে শিথিলতা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একাধিক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে শতাধিক মানুষের সামনে, হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে। এই ঘটনাটি শুধু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্থানীয় প্রভাব, অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক পরিচয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
একই দিন খুলনায় আরেকটি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে, যেখানে যুবদলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে, চাঁদপুরে এক খতিবকে মসজিদের ভেতরেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে ধর্মীয় বক্তব্য নিয়ে বিরোধের জেরে।
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যেসব বিষয় সামনে আসে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। দেশে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত সমস্যা হলো বিচারহীনতা। অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয় কিংবা রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায় না। ফলস্বরূপ, অপরাধীরা মনে করেÑকিছু সময় গা-ঢাকা দিলে কিংবা দলীয় সমর্থন থাকলে শাস্তি এড়ানো সম্ভব।
এই মনোভাব অপরাধকে উৎসাহিত করে এবং সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। দৃষ্টান্তমূলক ও দ্রুত বিচার ছাড়া এই প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সাম্প্রতিক প্রতিটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল জানিয়েছে যে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব শেষ হয় না। প্রশ্ন থেকে যায়Ñএই সদস্যদের অপরাধপ্রবণতা কি আগে দলীয় কাঠামোতে নজরে আসেনি?
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সামাজিক সহিংসতা ও রাজনৈতিক অপরাধ রোধ সম্ভব নয়। প্রশাসনকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, প্রকাশ্যে হত্যা বা ধর্মের অপব্যাখ্যায় সহিংসতার কোনো ক্ষেত্রেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে শিথিলতা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।