চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তুলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বৈধ ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বালু উত্তোলন শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি পরিবেশের সঙ্গেও জড়িত। অপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বালু তুললে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। পাড় ভাঙে। আশপাশের কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ে। জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একবার পরিবেশের এই ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেয়া সহজ নয়।
বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে ইউএনও, থানা ও ভূমি অফিসের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ পেয়ে বসে থাকলে অবৈধ চক্রের সাহস বাড়ে। আর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
দেশের বহু এলাকায় এ ধরনের অবস্থা চলছে। এটি এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। তাই প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রতিটি বালুমহাল নিয়মিত তদারকির আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের কর্ণগোচর হলে ব্যবস্থা না নিয়ে উপায় নেই।
বালু উত্তোলন হতে পারে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি অংশ। কিন্তু তা যদি আইন ভেঙে হয়, তবে এর ফল হতে পারে ভয়াবহ। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। এই চক্র যতদিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাবে, ততদিন অন্যরা উৎসাহিত হবে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তুলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বৈধ ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বালু উত্তোলন শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি পরিবেশের সঙ্গেও জড়িত। অপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বালু তুললে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। পাড় ভাঙে। আশপাশের কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ে। জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একবার পরিবেশের এই ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেয়া সহজ নয়।
বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে ইউএনও, থানা ও ভূমি অফিসের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ পেয়ে বসে থাকলে অবৈধ চক্রের সাহস বাড়ে। আর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
দেশের বহু এলাকায় এ ধরনের অবস্থা চলছে। এটি এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। তাই প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রতিটি বালুমহাল নিয়মিত তদারকির আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের কর্ণগোচর হলে ব্যবস্থা না নিয়ে উপায় নেই।
বালু উত্তোলন হতে পারে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি অংশ। কিন্তু তা যদি আইন ভেঙে হয়, তবে এর ফল হতে পারে ভয়াবহ। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। এই চক্র যতদিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাবে, ততদিন অন্যরা উৎসাহিত হবে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।