alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

: সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তুলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বৈধ ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বালু উত্তোলন শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি পরিবেশের সঙ্গেও জড়িত। অপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বালু তুললে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। পাড় ভাঙে। আশপাশের কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ে। জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একবার পরিবেশের এই ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেয়া সহজ নয়।

বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে ইউএনও, থানা ও ভূমি অফিসের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ পেয়ে বসে থাকলে অবৈধ চক্রের সাহস বাড়ে। আর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

দেশের বহু এলাকায় এ ধরনের অবস্থা চলছে। এটি এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। তাই প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রতিটি বালুমহাল নিয়মিত তদারকির আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের কর্ণগোচর হলে ব্যবস্থা না নিয়ে উপায় নেই।

বালু উত্তোলন হতে পারে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি অংশ। কিন্তু তা যদি আইন ভেঙে হয়, তবে এর ফল হতে পারে ভয়াবহ। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। এই চক্র যতদিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাবে, ততদিন অন্যরা উৎসাহিত হবে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তুলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের একাংশকে ‘ম্যানেজ’ করে তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বৈধ ইজারাদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বালু উত্তোলন শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি পরিবেশের সঙ্গেও জড়িত। অপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বালু তুললে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। পাড় ভাঙে। আশপাশের কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়ে। জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একবার পরিবেশের এই ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেয়া সহজ নয়।

বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি। স্থানীয় পর্যায়ে ইউএনও, থানা ও ভূমি অফিসের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ পেয়ে বসে থাকলে অবৈধ চক্রের সাহস বাড়ে। আর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

দেশের বহু এলাকায় এ ধরনের অবস্থা চলছে। এটি এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। তাই প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রতিটি বালুমহাল নিয়মিত তদারকির আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি বাড়ানো যেতে পারে। স্থানীয় মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের কর্ণগোচর হলে ব্যবস্থা না নিয়ে উপায় নেই।

বালু উত্তোলন হতে পারে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি অংশ। কিন্তু তা যদি আইন ভেঙে হয়, তবে এর ফল হতে পারে ভয়াবহ। পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সমাজে অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। এই চক্র যতদিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পাবে, ততদিন অন্যরা উৎসাহিত হবে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।

back to top