alt

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে এক সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত একটি ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। তবু রোগী সেবায় সেটিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দুই বছর ধরে বন্ধ। অর্থছাড়ের জটিলতা ও ঠিকাদারের গাফিলতিই এর প্রধান কারণ। ফলে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে। দেয়াল ও ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। ওয়ার্ডজুড়ে ভেজা পরিবেশ। বেড ও বেডিংও নষ্ট হচ্ছে।

এই অবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেবার মান কমে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রোগীদের রাখা হচ্ছে। অনেকেই ভর্তি হতে অনিচ্ছুক। কিন্তু দরিদ্র রোগীরা বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন এখানে চিকিৎসা নিতে।

নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকসানের আশঙ্কায় কাজ বন্ধ রেখেছেÑএমন অভিযোগ রয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটি অর্থছাড় বন্ধ থাকার কথা বলেছে। প্রকৃত কারণ যাই হোক, স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন বলা হচ্ছেÑঅর্থছাড় আসছে, কাজ শুরু হবে। পুরনো ভবনের আংশিক সংস্কারও শুরু হয়েছে।

এই প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এভাবে একটি হাসপাতাল দীর্ঘদিন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে না। স্বাস্থ্য খাতে দায়িত্বশীলতা অত্যাবশ্যক। দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।

চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নির্মাণকাজের বিলম্ব, বাজেট জটিলতা এবং নজরদারির অভাবÑএই ত্রয়ী সংকট দূর না হলে সমস্যা থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বার্থে বিষয়টি আর বিলম্ব সহ্যযোগ্য নয়।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে এক সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত একটি ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। তবু রোগী সেবায় সেটিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দুই বছর ধরে বন্ধ। অর্থছাড়ের জটিলতা ও ঠিকাদারের গাফিলতিই এর প্রধান কারণ। ফলে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে। দেয়াল ও ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। ওয়ার্ডজুড়ে ভেজা পরিবেশ। বেড ও বেডিংও নষ্ট হচ্ছে।

এই অবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেবার মান কমে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রোগীদের রাখা হচ্ছে। অনেকেই ভর্তি হতে অনিচ্ছুক। কিন্তু দরিদ্র রোগীরা বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন এখানে চিকিৎসা নিতে।

নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকসানের আশঙ্কায় কাজ বন্ধ রেখেছেÑএমন অভিযোগ রয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটি অর্থছাড় বন্ধ থাকার কথা বলেছে। প্রকৃত কারণ যাই হোক, স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন বলা হচ্ছেÑঅর্থছাড় আসছে, কাজ শুরু হবে। পুরনো ভবনের আংশিক সংস্কারও শুরু হয়েছে।

এই প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এভাবে একটি হাসপাতাল দীর্ঘদিন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে না। স্বাস্থ্য খাতে দায়িত্বশীলতা অত্যাবশ্যক। দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।

চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নির্মাণকাজের বিলম্ব, বাজেট জটিলতা এবং নজরদারির অভাবÑএই ত্রয়ী সংকট দূর না হলে সমস্যা থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বার্থে বিষয়টি আর বিলম্ব সহ্যযোগ্য নয়।

back to top