পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে এক সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত একটি ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। তবু রোগী সেবায় সেটিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দুই বছর ধরে বন্ধ। অর্থছাড়ের জটিলতা ও ঠিকাদারের গাফিলতিই এর প্রধান কারণ। ফলে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে। দেয়াল ও ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। ওয়ার্ডজুড়ে ভেজা পরিবেশ। বেড ও বেডিংও নষ্ট হচ্ছে।
এই অবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেবার মান কমে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রোগীদের রাখা হচ্ছে। অনেকেই ভর্তি হতে অনিচ্ছুক। কিন্তু দরিদ্র রোগীরা বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন এখানে চিকিৎসা নিতে।
নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকসানের আশঙ্কায় কাজ বন্ধ রেখেছেÑএমন অভিযোগ রয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটি অর্থছাড় বন্ধ থাকার কথা বলেছে। প্রকৃত কারণ যাই হোক, স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন বলা হচ্ছেÑঅর্থছাড় আসছে, কাজ শুরু হবে। পুরনো ভবনের আংশিক সংস্কারও শুরু হয়েছে।
এই প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এভাবে একটি হাসপাতাল দীর্ঘদিন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে না। স্বাস্থ্য খাতে দায়িত্বশীলতা অত্যাবশ্যক। দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।
চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নির্মাণকাজের বিলম্ব, বাজেট জটিলতা এবং নজরদারির অভাবÑএই ত্রয়ী সংকট দূর না হলে সমস্যা থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বার্থে বিষয়টি আর বিলম্ব সহ্যযোগ্য নয়।
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে এক সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত একটি ভবনে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী। তবু রোগী সেবায় সেটিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দুই বছর ধরে বন্ধ। অর্থছাড়ের জটিলতা ও ঠিকাদারের গাফিলতিই এর প্রধান কারণ। ফলে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে। দেয়াল ও ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। ওয়ার্ডজুড়ে ভেজা পরিবেশ। বেড ও বেডিংও নষ্ট হচ্ছে।
এই অবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেবার মান কমে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রোগীদের রাখা হচ্ছে। অনেকেই ভর্তি হতে অনিচ্ছুক। কিন্তু দরিদ্র রোগীরা বিকল্প না পেয়ে বাধ্য হচ্ছেন এখানে চিকিৎসা নিতে।
নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকসানের আশঙ্কায় কাজ বন্ধ রেখেছেÑএমন অভিযোগ রয়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটি অর্থছাড় বন্ধ থাকার কথা বলেছে। প্রকৃত কারণ যাই হোক, স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে, এটাই বাস্তবতা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন বলা হচ্ছেÑঅর্থছাড় আসছে, কাজ শুরু হবে। পুরনো ভবনের আংশিক সংস্কারও শুরু হয়েছে।
এই প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এভাবে একটি হাসপাতাল দীর্ঘদিন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারে না। স্বাস্থ্য খাতে দায়িত্বশীলতা অত্যাবশ্যক। দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।
চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নির্মাণকাজের বিলম্ব, বাজেট জটিলতা এবং নজরদারির অভাবÑএই ত্রয়ী সংকট দূর না হলে সমস্যা থেকে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বার্থে বিষয়টি আর বিলম্ব সহ্যযোগ্য নয়।