alt

সম্পাদকীয়

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

: বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ফেনী জেলায় এবারের বন্যা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশও বটে। মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১৩৭টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। এখনো অনেক পরিবার ঘরছাড়া।

জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৪৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, অবকাঠামোÑসবকিছুতেই এ ক্ষতির ছাপ স্পষ্ট। ধান, সবজি, আদা, হলুদসহ হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ। মারা গেছে পোলট্রি ও গবাদিপশু।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনের কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। তবে এই তৎপরতা সংকটের তুলনায় যথেষ্ট নয়। যেসব বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে, সেগুলোর মেরামতের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এই অবহেলা ভবিষ্যতের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

এবারের দুর্যোগ থেকে শিক্ষা না নিলে শুধু ক্ষতির পরিমাণই বাড়বে। প্রতি বছর বন্যা হবে, ক্ষয়ক্ষতি হবে, ত্রাণ দেয়া হবেÑএই চক্র চলতে থাকলে জনগণের দুর্ভোগ কোনোদিন কমবে না। টেকসই বাঁধ নির্মাণ, নদী শাসন, জলাধার সংরক্ষণ ও বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে।

বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব দ্রুত প্রস্তুত করে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে হাতে হাতে, নয়তো অনেকেই আবারও দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে যাবেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ পুরোপুরি সম্ভব নয়। তবে প্রস্তুতির ঘাটতি প্রতিবার এই দুর্যোগকে মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত করে। তাই এখনই সময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার। নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ছাড়া এই বাস্তবতা বদলানো কঠিন। ফেনীর মানুষ আরেকটি বর্ষায় নতুন করে ভাসুকÑএটা কেউ চায় না।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

ফেনী জেলায় এবারের বন্যা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশও বটে। মুহুরী, কুহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১৩৭টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। এখনো অনেক পরিবার ঘরছাড়া।

জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৪৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, অবকাঠামোÑসবকিছুতেই এ ক্ষতির ছাপ স্পষ্ট। ধান, সবজি, আদা, হলুদসহ হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ। মারা গেছে পোলট্রি ও গবাদিপশু।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনের কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। তবে এই তৎপরতা সংকটের তুলনায় যথেষ্ট নয়। যেসব বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে, সেগুলোর মেরামতের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এই অবহেলা ভবিষ্যতের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।

এবারের দুর্যোগ থেকে শিক্ষা না নিলে শুধু ক্ষতির পরিমাণই বাড়বে। প্রতি বছর বন্যা হবে, ক্ষয়ক্ষতি হবে, ত্রাণ দেয়া হবেÑএই চক্র চলতে থাকলে জনগণের দুর্ভোগ কোনোদিন কমবে না। টেকসই বাঁধ নির্মাণ, নদী শাসন, জলাধার সংরক্ষণ ও বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে।

বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব দ্রুত প্রস্তুত করে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে হাতে হাতে, নয়তো অনেকেই আবারও দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে যাবেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ পুরোপুরি সম্ভব নয়। তবে প্রস্তুতির ঘাটতি প্রতিবার এই দুর্যোগকে মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত করে। তাই এখনই সময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার। নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ছাড়া এই বাস্তবতা বদলানো কঠিন। ফেনীর মানুষ আরেকটি বর্ষায় নতুন করে ভাসুকÑএটা কেউ চায় না।

back to top