নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি খুলনার কয়রায় দুটি পোল্ডারে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্পের মেয়াদ একবার বাড়ানোর পরও কাজের মাত্র ২৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। এতে করে প্রকল্প এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকা যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি দুর্যোগ প্রতিরোধে সম্ভাব্য এক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। বর্তমান অবস্থা থেকে পরিষ্কার, প্রকল্প বাস্তবায়নে কাক্সিক্ষত গতি ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।
টেকসই বাঁধ না হলে উপকূলীয় জনপদ ঝুঁকির মুখে পড়ে। জোয়ার-ভাটা, ঘূর্ণিঝড় বা অতিবৃষ্টির সময় দুর্বল বাঁধ ভেঙে জলাবদ্ধতা, কৃষিক্ষেত্র ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ভাঙনের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে এটি মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কয়রায় ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় মাটি ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা ভবিষ্যৎ বিপদের পূর্বাভাস হিসেবে দেখলে বাড়াবাড়ি হবে না।
এই পরিস্থিতি রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ অপরিহার্য। আর তা করতে হলে পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিয়মিত ও কঠোর তদারকি দরকার, যাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনাগ্রহ বা গাফিলতি দ্রুত শনাক্ত ও মোকাবিলা করা যায়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় সক্ষমতা যাচাই এবং কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ।
একইসঙ্গে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক সমন্বয়। ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের গতি ও মানে ভারসাম্য না থাকলে সামগ্রিক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা প্রকল্পের গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে।
পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করা এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া। উপকূলীয় এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়। দেশের অর্থনীতিতে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনায়ও বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয়। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত টেকসই অবকাঠামো। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা মাথায় রেখে কাজ করবেন সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি খুলনার কয়রায় দুটি পোল্ডারে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্পের মেয়াদ একবার বাড়ানোর পরও কাজের মাত্র ২৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। এতে করে প্রকল্প এলাকার জনগণের জীবন-জীবিকা যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি দুর্যোগ প্রতিরোধে সম্ভাব্য এক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। বর্তমান অবস্থা থেকে পরিষ্কার, প্রকল্প বাস্তবায়নে কাক্সিক্ষত গতি ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।
টেকসই বাঁধ না হলে উপকূলীয় জনপদ ঝুঁকির মুখে পড়ে। জোয়ার-ভাটা, ঘূর্ণিঝড় বা অতিবৃষ্টির সময় দুর্বল বাঁধ ভেঙে জলাবদ্ধতা, কৃষিক্ষেত্র ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ভাঙনের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে এটি মানুষের জীবনমান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কয়রায় ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় মাটি ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা ভবিষ্যৎ বিপদের পূর্বাভাস হিসেবে দেখলে বাড়াবাড়ি হবে না।
এই পরিস্থিতি রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ অপরিহার্য। আর তা করতে হলে পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিয়মিত ও কঠোর তদারকি দরকার, যাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনাগ্রহ বা গাফিলতি দ্রুত শনাক্ত ও মোকাবিলা করা যায়। দরপত্র প্রক্রিয়ায় সক্ষমতা যাচাই এবং কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ।
একইসঙ্গে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক সমন্বয়। ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজের গতি ও মানে ভারসাম্য না থাকলে সামগ্রিক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা প্রকল্পের গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে।
পাউবো এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করা এবং দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া। উপকূলীয় এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়। দেশের অর্থনীতিতে এই অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনায়ও বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের শৈথিল্য গ্রহণযোগ্য নয়। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত টেকসই অবকাঠামো। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা মাথায় রেখে কাজ করবেন সেটা আমাদের প্রত্যাশা।