alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

: সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

রংপুরের তারাগঞ্জে ‘চোর সন্দেহে’ জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের এক ভয়াবহ ও অমানবিক প্রবণতার চিত্র তুলে ধরল। দুজন মানুষকে সন্দেহের বশে আটক, প্রকাশ্যে নির্যাতন এবং শেষে হত্যা করা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেউই এই নির্মমতা ঠেকাতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন।

সন্দেহের বশে মানুষ হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দেশে এমন গণপিটুনির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কোনো অপরাধের অভিযোগ উঠলেই আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে নিজ হাতে ‘বিচার’ করার প্রবণতা বেড়েছে। এতে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, আর আসল অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যাচ্ছেন।

এ ধরনের ঘটনা শুধু নৃশংস হত্যাকা- নয়, আইনের শাসনের প্রতি একধরনের অনাস্থা। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া মানে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনেক মানুষ ভরসা করতে পারছেন না। এই অবস্থা কেন হল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানাকে সেটা অবহিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করার একমাত্র দায়িত্ব পুলিশের। তদন্তসাপেক্ষে তার বিচার করবে আদালত। গণপিটুনি কখনো আইনের বিকল্প হতে পারে না। বরং এ অবস্থা চলতে থাকলে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে।

গণপিটুনির এই অমানবিক সংস্কৃতি এখনই বন্ধ করতে হবে। নইলে একদিন সবাইকে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। রংপুরের এই মর্মান্তিক হত্যাকা- যেন আমাদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে সেই প্রত্যাশা করি।

রংপুরে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।

পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ‘গণপিটুনি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো যেতে পারে।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

রংপুরের তারাগঞ্জে ‘চোর সন্দেহে’ জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের এক ভয়াবহ ও অমানবিক প্রবণতার চিত্র তুলে ধরল। দুজন মানুষকে সন্দেহের বশে আটক, প্রকাশ্যে নির্যাতন এবং শেষে হত্যা করা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেউই এই নির্মমতা ঠেকাতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন।

সন্দেহের বশে মানুষ হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দেশে এমন গণপিটুনির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কোনো অপরাধের অভিযোগ উঠলেই আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে নিজ হাতে ‘বিচার’ করার প্রবণতা বেড়েছে। এতে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, আর আসল অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যাচ্ছেন।

এ ধরনের ঘটনা শুধু নৃশংস হত্যাকা- নয়, আইনের শাসনের প্রতি একধরনের অনাস্থা। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া মানে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনেক মানুষ ভরসা করতে পারছেন না। এই অবস্থা কেন হল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানাকে সেটা অবহিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করার একমাত্র দায়িত্ব পুলিশের। তদন্তসাপেক্ষে তার বিচার করবে আদালত। গণপিটুনি কখনো আইনের বিকল্প হতে পারে না। বরং এ অবস্থা চলতে থাকলে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে।

গণপিটুনির এই অমানবিক সংস্কৃতি এখনই বন্ধ করতে হবে। নইলে একদিন সবাইকে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। রংপুরের এই মর্মান্তিক হত্যাকা- যেন আমাদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে সেই প্রত্যাশা করি।

রংপুরে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।

পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ‘গণপিটুনি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো যেতে পারে।

back to top