রংপুরের তারাগঞ্জে ‘চোর সন্দেহে’ জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের এক ভয়াবহ ও অমানবিক প্রবণতার চিত্র তুলে ধরল। দুজন মানুষকে সন্দেহের বশে আটক, প্রকাশ্যে নির্যাতন এবং শেষে হত্যা করা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেউই এই নির্মমতা ঠেকাতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন।
সন্দেহের বশে মানুষ হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দেশে এমন গণপিটুনির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কোনো অপরাধের অভিযোগ উঠলেই আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে নিজ হাতে ‘বিচার’ করার প্রবণতা বেড়েছে। এতে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, আর আসল অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ ধরনের ঘটনা শুধু নৃশংস হত্যাকা- নয়, আইনের শাসনের প্রতি একধরনের অনাস্থা। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া মানে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনেক মানুষ ভরসা করতে পারছেন না। এই অবস্থা কেন হল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানাকে সেটা অবহিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করার একমাত্র দায়িত্ব পুলিশের। তদন্তসাপেক্ষে তার বিচার করবে আদালত। গণপিটুনি কখনো আইনের বিকল্প হতে পারে না। বরং এ অবস্থা চলতে থাকলে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে।
গণপিটুনির এই অমানবিক সংস্কৃতি এখনই বন্ধ করতে হবে। নইলে একদিন সবাইকে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। রংপুরের এই মর্মান্তিক হত্যাকা- যেন আমাদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে সেই প্রত্যাশা করি।
রংপুরে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ‘গণপিটুনি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো যেতে পারে।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের তারাগঞ্জে ‘চোর সন্দেহে’ জামাই-শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আবারও আমাদের সমাজের এক ভয়াবহ ও অমানবিক প্রবণতার চিত্র তুলে ধরল। দুজন মানুষকে সন্দেহের বশে আটক, প্রকাশ্যে নির্যাতন এবং শেষে হত্যা করা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাদের কেউই এই নির্মমতা ঠেকাতে এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন।
সন্দেহের বশে মানুষ হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দেশে এমন গণপিটুনির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কোনো অপরাধের অভিযোগ উঠলেই আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে নিজ হাতে ‘বিচার’ করার প্রবণতা বেড়েছে। এতে অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, আর আসল অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যাচ্ছেন।
এ ধরনের ঘটনা শুধু নৃশংস হত্যাকা- নয়, আইনের শাসনের প্রতি একধরনের অনাস্থা। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া মানে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনেক মানুষ ভরসা করতে পারছেন না। এই অবস্থা কেন হল সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানাকে সেটা অবহিত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করার একমাত্র দায়িত্ব পুলিশের। তদন্তসাপেক্ষে তার বিচার করবে আদালত। গণপিটুনি কখনো আইনের বিকল্প হতে পারে না। বরং এ অবস্থা চলতে থাকলে আইনের শাসন ভেঙে পড়ে।
গণপিটুনির এই অমানবিক সংস্কৃতি এখনই বন্ধ করতে হবে। নইলে একদিন সবাইকে এর চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। রংপুরের এই মর্মান্তিক হত্যাকা- যেন আমাদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে সেই প্রত্যাশা করি।
রংপুরে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ‘গণপিটুনি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো যেতে পারে।