নওগাঁর রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র ঘুষ আদায় করছে। ঘুষ না দিলে মিলছে না সেবা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জমিসংক্রান্ত নথি, খাজনা, খারিজ ইত্যাদি সেবাকে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই ভূমি অফিসের কাজ। বাস্তবে সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নাগরিকদের হয়রানি আর ভোগান্তির কেন্দ্র। অভিযোগ আছে, দেশের অনেক ভূমি অফিসে খাজনার অনুমোদন, খারিজের প্রতিবেদন, হোল্ডিং এন্ট্রি প্রভৃতি কাজে ঘুষ আদায় করা হয়। কোনো কোনো ভূমি অফিসে দালালদের সিন্ডিকেটও রয়েছে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ঘুষ না দিলে নানানভাবে হয়রানি করা হয়। জমিসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে অনেকেই বাধ্য হন ঘুষ দিতে। অনেক সময় ঘুষ দিয়েও সেবা মেলে না।
প্রশ্ন হলো, এমন দুর্নীতির চিত্র কি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে পড়ে না। সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, বিষয়টি তার জানা নেই। আমরা জানতে চাইব, স্থানীয় বাসিন্দরা অনেক দিন ধরে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তা জানার দায়িত্ব কি প্রশাসনের নয়।
আমরা বলতে চাই, মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষের অভিযোগ আমলে নিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভূমিসংক্রান্ত সেবা গ্রহণের প্রতিটি ধাপ ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় এনে ঘুষ ও দালাল সিন্ডিকেটের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।
ভূমি অফিসের দুর্নীতি শুধু একটি ইউনিয়নের সমস্যা নয়, এটি দেশের ভূমিসেবা খাতের বৃহত্তর সংকটের প্রতিফলন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও সেবা পেতে নাগরিকদেরকে ঘুষ দিতে হচ্ছে। তাহলে পরিবর্তনটা হলো কী? ঘুষ ছাড়া সেবা না দেয়ার অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
নওগাঁর রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র ঘুষ আদায় করছে। ঘুষ না দিলে মিলছে না সেবা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জমিসংক্রান্ত নথি, খাজনা, খারিজ ইত্যাদি সেবাকে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই ভূমি অফিসের কাজ। বাস্তবে সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নাগরিকদের হয়রানি আর ভোগান্তির কেন্দ্র। অভিযোগ আছে, দেশের অনেক ভূমি অফিসে খাজনার অনুমোদন, খারিজের প্রতিবেদন, হোল্ডিং এন্ট্রি প্রভৃতি কাজে ঘুষ আদায় করা হয়। কোনো কোনো ভূমি অফিসে দালালদের সিন্ডিকেটও রয়েছে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ঘুষ না দিলে নানানভাবে হয়রানি করা হয়। জমিসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে অনেকেই বাধ্য হন ঘুষ দিতে। অনেক সময় ঘুষ দিয়েও সেবা মেলে না।
প্রশ্ন হলো, এমন দুর্নীতির চিত্র কি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে পড়ে না। সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, বিষয়টি তার জানা নেই। আমরা জানতে চাইব, স্থানীয় বাসিন্দরা অনেক দিন ধরে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তা জানার দায়িত্ব কি প্রশাসনের নয়।
আমরা বলতে চাই, মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষের অভিযোগ আমলে নিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভূমিসংক্রান্ত সেবা গ্রহণের প্রতিটি ধাপ ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় এনে ঘুষ ও দালাল সিন্ডিকেটের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।
ভূমি অফিসের দুর্নীতি শুধু একটি ইউনিয়নের সমস্যা নয়, এটি দেশের ভূমিসেবা খাতের বৃহত্তর সংকটের প্রতিফলন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও সেবা পেতে নাগরিকদেরকে ঘুষ দিতে হচ্ছে। তাহলে পরিবর্তনটা হলো কী? ঘুষ ছাড়া সেবা না দেয়ার অপসংস্কৃতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।