alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত দুই সপ্তাহে সাপের দংশনে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল ইসলামের মৃত্যু। সাপের দংশনে আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে একের পর এক চারটি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও অ্যান্টিভেনম পায়নি তার পরিবার। অ্যান্টিভেনম পাওয়া গেলে হয়তো তাকে প্রাণ হারাতে হতো না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের তীব্র সংকট রয়েছে। যে কারণে সময়মতো চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অ্যান্টিভেনমের সংকটের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

সাপের বিষে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম দেয়া হলে অধিকাংশ রোগী বেঁচে যায়। অথচ অ্যান্টিভেনমের অভাবে মানুষকে আজও ওঝার কাছে যেতে হচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বর্ষাকালে সাপের দংশনের ঘটনা বাড়ে। সমস্যা হচ্ছে অনেক হাসপাতালেই, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম মজুদ থাকে না। বর্ষাকালে সাপের কামড়ের ঝুঁকি বাড়ে, এটি জানা সত্ত্বেও কেন প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে সেটা একটা প্রশ্ন। কেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বর্ষার শুরুতেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে এবং দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা শুধু একটি জেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংকট নিরসন করে প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাপের দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করাও জরুরি।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত দুই সপ্তাহে সাপের দংশনে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল ইসলামের মৃত্যু। সাপের দংশনে আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে একের পর এক চারটি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও অ্যান্টিভেনম পায়নি তার পরিবার। অ্যান্টিভেনম পাওয়া গেলে হয়তো তাকে প্রাণ হারাতে হতো না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের তীব্র সংকট রয়েছে। যে কারণে সময়মতো চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অ্যান্টিভেনমের সংকটের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

সাপের বিষে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম দেয়া হলে অধিকাংশ রোগী বেঁচে যায়। অথচ অ্যান্টিভেনমের অভাবে মানুষকে আজও ওঝার কাছে যেতে হচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

বর্ষাকালে সাপের দংশনের ঘটনা বাড়ে। সমস্যা হচ্ছে অনেক হাসপাতালেই, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম মজুদ থাকে না। বর্ষাকালে সাপের কামড়ের ঝুঁকি বাড়ে, এটি জানা সত্ত্বেও কেন প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে সেটা একটা প্রশ্ন। কেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বর্ষার শুরুতেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে এবং দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা শুধু একটি জেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংকট নিরসন করে প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাপের দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করাও জরুরি।

back to top