উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত দুই সপ্তাহে সাপের দংশনে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল ইসলামের মৃত্যু। সাপের দংশনে আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে একের পর এক চারটি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও অ্যান্টিভেনম পায়নি তার পরিবার। অ্যান্টিভেনম পাওয়া গেলে হয়তো তাকে প্রাণ হারাতে হতো না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের তীব্র সংকট রয়েছে। যে কারণে সময়মতো চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অ্যান্টিভেনমের সংকটের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
সাপের বিষে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম দেয়া হলে অধিকাংশ রোগী বেঁচে যায়। অথচ অ্যান্টিভেনমের অভাবে মানুষকে আজও ওঝার কাছে যেতে হচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বর্ষাকালে সাপের দংশনের ঘটনা বাড়ে। সমস্যা হচ্ছে অনেক হাসপাতালেই, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম মজুদ থাকে না। বর্ষাকালে সাপের কামড়ের ঝুঁকি বাড়ে, এটি জানা সত্ত্বেও কেন প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে সেটা একটা প্রশ্ন। কেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বর্ষার শুরুতেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে এবং দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা শুধু একটি জেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংকট নিরসন করে প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাপের দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করাও জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে গত দুই সপ্তাহে সাপের দংশনে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হলো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল ইসলামের মৃত্যু। সাপের দংশনে আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে একের পর এক চারটি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও অ্যান্টিভেনম পায়নি তার পরিবার। অ্যান্টিভেনম পাওয়া গেলে হয়তো তাকে প্রাণ হারাতে হতো না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের তীব্র সংকট রয়েছে। যে কারণে সময়মতো চিকিৎসার অভাবে সাপের কামড়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে অ্যান্টিভেনমের সংকটের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
সাপের বিষে মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম দেয়া হলে অধিকাংশ রোগী বেঁচে যায়। অথচ অ্যান্টিভেনমের অভাবে মানুষকে আজও ওঝার কাছে যেতে হচ্ছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বর্ষাকালে সাপের দংশনের ঘটনা বাড়ে। সমস্যা হচ্ছে অনেক হাসপাতালেই, প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম মজুদ থাকে না। বর্ষাকালে সাপের কামড়ের ঝুঁকি বাড়ে, এটি জানা সত্ত্বেও কেন প্রতি বছর একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে সেটা একটা প্রশ্ন। কেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বর্ষার শুরুতেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে এবং দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ঘটনা শুধু একটি জেলার সমস্যা নয়, এটি দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংকট নিরসন করে প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাপের দংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করাও জরুরি।