সার, বীজ ও কীটনাশকের কৃত্রিম সংকটের কারণে সংকটের মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের আগাম সবজি চাষীরা। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি গ্রামে আগাম ফুলকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহ থাকলেও, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি তাদের লাভের আশাকে ম্লান করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু কৃষকদের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং দেশের কৃষি অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষকদের অভিযোগ, গত বছর যে ফুলকপির বীজ সাত থেকে সাড়ে সাত শ টাকায় কেনা গেছে, এ বছর তা কিনতে হচ্ছে ১৬ শত থেকে ১৮ শত টাকায়। সারের দামও বেড়েছে। অনেক কৃষক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সার ও বীজের সরবরাহ না পাওয়া এবং অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তাদের খরচ উঠানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এরপরও কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে, যার ফলে সারের চাহিদা বেড়েছে। তবে বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সুষ্ঠু বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দের সার সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।
কুড়িগ্রামের কৃষকদের সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। সার, বীজ ও কীটনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর তদারকি ও বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের জন্য সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের আর্থিক বোঝা কমানো যেতে পারে।
সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সার, বীজ ও কীটনাশকের কৃত্রিম সংকটের কারণে সংকটের মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের আগাম সবজি চাষীরা। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি গ্রামে আগাম ফুলকপি চাষে কৃষকদের উৎসাহ থাকলেও, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি তাদের লাভের আশাকে ম্লান করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু কৃষকদের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং দেশের কৃষি অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কৃষকদের অভিযোগ, গত বছর যে ফুলকপির বীজ সাত থেকে সাড়ে সাত শ টাকায় কেনা গেছে, এ বছর তা কিনতে হচ্ছে ১৬ শত থেকে ১৮ শত টাকায়। সারের দামও বেড়েছে। অনেক কৃষক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু সঠিক সময়ে সার ও বীজের সরবরাহ না পাওয়া এবং অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় তাদের খরচ উঠানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাজারে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এরপরও কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে, যার ফলে সারের চাহিদা বেড়েছে। তবে বর্তমানে সারের কোনো সংকট নেই। সুষ্ঠু বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বরাদ্দের সার সঠিকভাবে বিতরণ না হওয়ায় বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।
কুড়িগ্রামের কৃষকদের সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে। সার, বীজ ও কীটনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর তদারকি ও বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের জন্য সরকারি ভর্তুকি বাড়িয়ে এবং সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে তাদের আর্থিক বোঝা কমানো যেতে পারে।