alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এক চলমান দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত ও ৬৮২ জন আহত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন।

উদ্বেগজনক একটি তথ্য হচ্ছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। শুধু সেপ্টেম্বরে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। মোট দুর্ঘটনার ৩৪ শতাংশই মোটরসাইকেলসংক্রান্ত। একদিকে তরুণদের বেপরোয়া চালানো, অন্যদিকে হেলমেটবিহীন যাত্রা, ট্রাফিক আইন অমান্য করাÑসব মিলিয়ে মোটরসাইকেল আজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুর্ঘটনাগুলো কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি নিয়মতান্ত্রিক ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা? দীর্ঘদিন ধরেই সরকার, প্রশাসন ও নাগরিক সমাজ সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আইন সংশোধন, ট্রাফিক সপ্তাহ, নতুন হেলমেট নীতিÑসবই হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের বাস্তবায়ন কি হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও দুর্বল সড়ক অবকাঠামো। চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, মাদকাসক্ত বা মানসিকভাবে অসুস্থ চালক, মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো প্রভৃতি কারণে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যদি মানুষের জীবন নিরাপত্তা না থাকে, তবে সেই উন্নয়নের অর্থ কী? সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চত করা সংশ্লিষ্টদের নৈতিক দায়। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কোনো একক সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। বিআরটিএ, পুলিশ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকসহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এক চলমান দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে দেশে ৪৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত ও ৬৮২ জন আহত হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন।

উদ্বেগজনক একটি তথ্য হচ্ছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। শুধু সেপ্টেম্বরে ১৫১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। মোট দুর্ঘটনার ৩৪ শতাংশই মোটরসাইকেলসংক্রান্ত। একদিকে তরুণদের বেপরোয়া চালানো, অন্যদিকে হেলমেটবিহীন যাত্রা, ট্রাফিক আইন অমান্য করাÑসব মিলিয়ে মোটরসাইকেল আজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুর্ঘটনাগুলো কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি নিয়মতান্ত্রিক ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা? দীর্ঘদিন ধরেই সরকার, প্রশাসন ও নাগরিক সমাজ সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আইন সংশোধন, ট্রাফিক সপ্তাহ, নতুন হেলমেট নীতিÑসবই হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের বাস্তবায়ন কি হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও দুর্বল সড়ক অবকাঠামো। চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, মাদকাসক্ত বা মানসিকভাবে অসুস্থ চালক, মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো প্রভৃতি কারণে ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যদি মানুষের জীবন নিরাপত্তা না থাকে, তবে সেই উন্নয়নের অর্থ কী? সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চত করা সংশ্লিষ্টদের নৈতিক দায়। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কোনো একক সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। বিআরটিএ, পুলিশ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকসহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

back to top