alt

মতামত » সম্পাদকীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

: সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে সন্তোষের বদলে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ। তারা বলছেন, এটা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের প্রতি অব্যাহত অবহেলারই প্রতিফলন এই সামান্য বৃদ্ধি। শিক্ষক সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অথচ কেবল ৫০০ টাকার বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো হলো। এ সিদ্ধান্ত যেন শিক্ষক সমাজের প্রতি এক প্রকার অবজ্ঞারই প্রকাশ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি বাস্তব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বিবেচনায় নিয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিবেচনায় না নিলে টেকসই নীতিগত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে কী করে!

দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদ- এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দেশের ৩৯ হাজার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষই দেশের শিক্ষার ভার বহন করছেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা এখনো হতাশজনক। সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের এই বঞ্চনা বৈষম্যেরই একটি উদাহরণ। সরকারি শিক্ষক যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা, পর্যাপ্ত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সুবিধা পান, সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান এর একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সমস্যা কোথায় সেটা সরকারকে বলতে হবে। অর্থকষ্টে জর্জরিত শিক্ষক যে মনোযোগ ও নিষ্ঠা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন না, তা বলাই বাহুল্য। আর শিক্ষক নিরুৎসাহিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা প্রজন্ম। শুধু সাময়িক প্রণোদনা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী নীতি থাকতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অভাব-অভিযোগের বাস্তবসম্মত সুরাহা হওয়া দরকার।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে সন্তোষের বদলে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ। তারা বলছেন, এটা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের প্রতি অব্যাহত অবহেলারই প্রতিফলন এই সামান্য বৃদ্ধি। শিক্ষক সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অথচ কেবল ৫০০ টাকার বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো হলো। এ সিদ্ধান্ত যেন শিক্ষক সমাজের প্রতি এক প্রকার অবজ্ঞারই প্রকাশ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি বাস্তব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বিবেচনায় নিয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিবেচনায় না নিলে টেকসই নীতিগত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে কী করে!

দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদ- এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দেশের ৩৯ হাজার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষই দেশের শিক্ষার ভার বহন করছেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা এখনো হতাশজনক। সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের এই বঞ্চনা বৈষম্যেরই একটি উদাহরণ। সরকারি শিক্ষক যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা, পর্যাপ্ত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সুবিধা পান, সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান এর একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।

শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সমস্যা কোথায় সেটা সরকারকে বলতে হবে। অর্থকষ্টে জর্জরিত শিক্ষক যে মনোযোগ ও নিষ্ঠা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন না, তা বলাই বাহুল্য। আর শিক্ষক নিরুৎসাহিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা প্রজন্ম। শুধু সাময়িক প্রণোদনা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী নীতি থাকতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অভাব-অভিযোগের বাস্তবসম্মত সুরাহা হওয়া দরকার।

back to top