এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে সন্তোষের বদলে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ। তারা বলছেন, এটা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের প্রতি অব্যাহত অবহেলারই প্রতিফলন এই সামান্য বৃদ্ধি। শিক্ষক সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অথচ কেবল ৫০০ টাকার বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো হলো। এ সিদ্ধান্ত যেন শিক্ষক সমাজের প্রতি এক প্রকার অবজ্ঞারই প্রকাশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি বাস্তব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বিবেচনায় নিয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিবেচনায় না নিলে টেকসই নীতিগত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে কী করে!
দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদ- এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দেশের ৩৯ হাজার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষই দেশের শিক্ষার ভার বহন করছেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা এখনো হতাশজনক। সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের এই বঞ্চনা বৈষম্যেরই একটি উদাহরণ। সরকারি শিক্ষক যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা, পর্যাপ্ত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সুবিধা পান, সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান এর একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সমস্যা কোথায় সেটা সরকারকে বলতে হবে। অর্থকষ্টে জর্জরিত শিক্ষক যে মনোযোগ ও নিষ্ঠা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন না, তা বলাই বাহুল্য। আর শিক্ষক নিরুৎসাহিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা প্রজন্ম। শুধু সাময়িক প্রণোদনা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী নীতি থাকতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অভাব-অভিযোগের বাস্তবসম্মত সুরাহা হওয়া দরকার।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে সন্তোষের বদলে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভ। তারা বলছেন, এটা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের প্রতি অব্যাহত অবহেলারই প্রতিফলন এই সামান্য বৃদ্ধি। শিক্ষক সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।
শিক্ষকরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অথচ কেবল ৫০০ টাকার বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানো হলো। এ সিদ্ধান্ত যেন শিক্ষক সমাজের প্রতি এক প্রকার অবজ্ঞারই প্রকাশ।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি বাস্তব পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বিবেচনায় নিয়েছিল। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিবেচনায় না নিলে টেকসই নীতিগত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে কী করে!
দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদ- এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী দেশের ৩৯ হাজার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষই দেশের শিক্ষার ভার বহন করছেন। অথচ তাদের বেতন-ভাতা এখনো হতাশজনক। সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় তাদের এই বঞ্চনা বৈষম্যেরই একটি উদাহরণ। সরকারি শিক্ষক যেখানে শতভাগ উৎসব ভাতা, পর্যাপ্ত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সুবিধা পান, সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান এর একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র।
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সমস্যা কোথায় সেটা সরকারকে বলতে হবে। অর্থকষ্টে জর্জরিত শিক্ষক যে মনোযোগ ও নিষ্ঠা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন না, তা বলাই বাহুল্য। আর শিক্ষক নিরুৎসাহিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা প্রজন্ম। শুধু সাময়িক প্রণোদনা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। এজন্য সুদূরপ্রসারী নীতি থাকতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অভাব-অভিযোগের বাস্তবসম্মত সুরাহা হওয়া দরকার।