alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

: বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টির ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল, খসে পড়া পলেস্তারা, মরিচা ধরা রড, ভাঙা দরজা-জানালা এবং বৃষ্টির পানিতে ভেজা ক্লাসরুম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন থাকেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কচুয়ার এই সমস্যা কেবল একটি উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বহু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একই ধরনের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দুরবস্থা শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের মূল ভিত্তি। তাই, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, জরাজীর্ণ ৩৮টি বিদ্যালয়ের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভালো উদ্যোগ। তবে কেবল তালিকা প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়। এই বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করে তাদের অবস্থা চিহ্নিত করতে হবে। এই জরিপের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়তে না হয়।

সরকারের শিক্ষা বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত তদারকির মাধ্যমে সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। পাশাপাশি, সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়। স্থানীয় সম্প্রদায়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সংস্কার কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্লাস বন্ধ করে বিকল্প নিরাপদ স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টির ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল, খসে পড়া পলেস্তারা, মরিচা ধরা রড, ভাঙা দরজা-জানালা এবং বৃষ্টির পানিতে ভেজা ক্লাসরুম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন থাকেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কচুয়ার এই সমস্যা কেবল একটি উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বহু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একই ধরনের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দুরবস্থা শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের মূল ভিত্তি। তাই, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, জরাজীর্ণ ৩৮টি বিদ্যালয়ের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভালো উদ্যোগ। তবে কেবল তালিকা প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়। এই বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করে তাদের অবস্থা চিহ্নিত করতে হবে। এই জরিপের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়তে না হয়।

সরকারের শিক্ষা বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত তদারকির মাধ্যমে সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। পাশাপাশি, সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়। স্থানীয় সম্প্রদায়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সংস্কার কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্লাস বন্ধ করে বিকল্প নিরাপদ স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

back to top