চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টির ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল, খসে পড়া পলেস্তারা, মরিচা ধরা রড, ভাঙা দরজা-জানালা এবং বৃষ্টির পানিতে ভেজা ক্লাসরুম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন থাকেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কচুয়ার এই সমস্যা কেবল একটি উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বহু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একই ধরনের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দুরবস্থা শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের মূল ভিত্তি। তাই, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, জরাজীর্ণ ৩৮টি বিদ্যালয়ের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভালো উদ্যোগ। তবে কেবল তালিকা প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়। এই বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করে তাদের অবস্থা চিহ্নিত করতে হবে। এই জরিপের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়তে না হয়।
সরকারের শিক্ষা বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত তদারকির মাধ্যমে সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। পাশাপাশি, সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়। স্থানীয় সম্প্রদায়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সংস্কার কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্লাস বন্ধ করে বিকল্প নিরাপদ স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টির ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল, খসে পড়া পলেস্তারা, মরিচা ধরা রড, ভাঙা দরজা-জানালা এবং বৃষ্টির পানিতে ভেজা ক্লাসরুম শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন থাকেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কচুয়ার এই সমস্যা কেবল একটি উপজেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বহু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একই ধরনের জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, অনেক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দুরবস্থা শিক্ষার মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের মূল ভিত্তি। তাই, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, জরাজীর্ণ ৩৮টি বিদ্যালয়ের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভালো উদ্যোগ। তবে কেবল তালিকা প্রস্তুত করাই যথেষ্ট নয়। এই বিদ্যালয়গুলোর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করে তাদের অবস্থা চিহ্নিত করতে হবে। এই জরিপের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে কোনো শিক্ষার্থীকে আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়তে না হয়।
সরকারের শিক্ষা বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষা বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত তদারকির মাধ্যমে সংস্কার কাজ ত্বরান্বিত করা দরকার। পাশাপাশি, সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়। স্থানীয় সম্প্রদায়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সংস্কার কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা যেতে পারে। এছাড়া, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্লাস বন্ধ করে বিকল্প নিরাপদ স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।