বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জনদুর্ভোগ ও পরিবেশ দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলা বর্জ্য থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশ স্থানীয়দের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নন্দীগ্রামে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। ফলে মানুষ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছে। সামান্য বৃষ্টিতে এই বর্জ্য সড়কে গড়িয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। আবার রোদে শুকিয়ে রোগজীবাণু ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে বা ডোবায় পৌরসভার ভ্যানগাড়ি ময়লা ফেলার ফলে এলাকাবাসীও সেখানে বর্জ্য ফেলতে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে পুরো এলাকা দূষিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয়রা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে দায়ী করছেন।
নন্দীগ্রামের এই সমস্যা কেবল একটি পৌর এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অনেক শহর ও পৌর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব এবং জনসচেতনতার ঘাটতি এই সংকটকে আরও জটিল করছে। তবে নন্দীগ্রামের মতো পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে, যা আর উপেক্ষা করা যায় না।
পৌর প্রশাসক বলেছেন, মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ করা চলবে না। পৌর কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচার চালাতে হবে। নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান ও শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট সমাধান এখন সময়ের দাবি।
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জনদুর্ভোগ ও পরিবেশ দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলা বর্জ্য থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশ স্থানীয়দের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নন্দীগ্রামে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। ফলে মানুষ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছে। সামান্য বৃষ্টিতে এই বর্জ্য সড়কে গড়িয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। আবার রোদে শুকিয়ে রোগজীবাণু ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উন্মুক্ত স্থানে বা ডোবায় পৌরসভার ভ্যানগাড়ি ময়লা ফেলার ফলে এলাকাবাসীও সেখানে বর্জ্য ফেলতে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে পুরো এলাকা দূষিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয়রা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে দায়ী করছেন।
নন্দীগ্রামের এই সমস্যা কেবল একটি পৌর এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের অনেক শহর ও পৌর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি একটি সাধারণ সমস্যা। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব এবং জনসচেতনতার ঘাটতি এই সংকটকে আরও জটিল করছে। তবে নন্দীগ্রামের মতো পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে, যা আর উপেক্ষা করা যায় না।
পৌর প্রশাসক বলেছেন, মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ করা চলবে না। পৌর কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে। নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচার চালাতে হবে। নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান ও শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট সমাধান এখন সময়ের দাবি।