গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি জনস্বাস্থ্য ও পশুসম্পদের জন্য উদ্বেগজনক। প্রায় তিন লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। এই অসামঞ্জস্যই সমস্যার গভীরতা স্পষ্ট করে। যদিও পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আরও এক লাখ টিকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, জনবল সংকটে সেই টিকা যথাসময়ে প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মাত্র পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় তিন লাখ পশুর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত এলাকায় গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি তথ্যমতে আক্রান্ত হয়ে ১৩টি পশু মারা গেলেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। স্থানীয়দের দাবি, মৃত পশুর সংখ্যা দেড় শতাধিক। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এসে ২২ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গুরুত্ব না দিলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে। সুতরাং টিকাদান কর্মসূচিতে দীর্ঘসূত্রিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততম সময়ে জনবল ঘাটতি পূরণ করা। স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে টিকা প্রদানের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে টিকার ভুল প্রয়োগের ঝুঁকি থেকে যাবে, যা আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। কারণ, অ্যানথ্রাক্সের মতো সংক্রামক রোগ পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। সুন্দরগঞ্জের এই পরিস্থিতি গোটা দেশের জন্যই এক সতর্কবার্তা।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি জনস্বাস্থ্য ও পশুসম্পদের জন্য উদ্বেগজনক। প্রায় তিন লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। এই অসামঞ্জস্যই সমস্যার গভীরতা স্পষ্ট করে। যদিও পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আরও এক লাখ টিকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, জনবল সংকটে সেই টিকা যথাসময়ে প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মাত্র পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় তিন লাখ পশুর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত এলাকায় গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি তথ্যমতে আক্রান্ত হয়ে ১৩টি পশু মারা গেলেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। স্থানীয়দের দাবি, মৃত পশুর সংখ্যা দেড় শতাধিক। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এসে ২২ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গুরুত্ব না দিলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে। সুতরাং টিকাদান কর্মসূচিতে দীর্ঘসূত্রিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততম সময়ে জনবল ঘাটতি পূরণ করা। স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে টিকা প্রদানের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে টিকার ভুল প্রয়োগের ঝুঁকি থেকে যাবে, যা আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। কারণ, অ্যানথ্রাক্সের মতো সংক্রামক রোগ পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। সুন্দরগঞ্জের এই পরিস্থিতি গোটা দেশের জন্যই এক সতর্কবার্তা।