alt

opinion » editorial

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি জনস্বাস্থ্য ও পশুসম্পদের জন্য উদ্বেগজনক। প্রায় তিন লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। এই অসামঞ্জস্যই সমস্যার গভীরতা স্পষ্ট করে। যদিও পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আরও এক লাখ টিকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, জনবল সংকটে সেই টিকা যথাসময়ে প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মাত্র পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় তিন লাখ পশুর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত এলাকায় গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি তথ্যমতে আক্রান্ত হয়ে ১৩টি পশু মারা গেলেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। স্থানীয়দের দাবি, মৃত পশুর সংখ্যা দেড় শতাধিক। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এসে ২২ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গুরুত্ব না দিলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে। সুতরাং টিকাদান কর্মসূচিতে দীর্ঘসূত্রিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততম সময়ে জনবল ঘাটতি পূরণ করা। স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে টিকা প্রদানের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে টিকার ভুল প্রয়োগের ঝুঁকি থেকে যাবে, যা আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। কারণ, অ্যানথ্রাক্সের মতো সংক্রামক রোগ পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। সুন্দরগঞ্জের এই পরিস্থিতি গোটা দেশের জন্যই এক সতর্কবার্তা।

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

tab

opinion » editorial

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে ধীরগতি জনস্বাস্থ্য ও পশুসম্পদের জন্য উদ্বেগজনক। প্রায় তিন লাখ গবাদিপশুর বিপরীতে টিকা বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। এই অসামঞ্জস্যই সমস্যার গভীরতা স্পষ্ট করে। যদিও পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে আরও এক লাখ টিকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, জনবল সংকটে সেই টিকা যথাসময়ে প্রয়োগ সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মাত্র পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় তিন লাখ পশুর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত এলাকায় গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি তথ্যমতে আক্রান্ত হয়ে ১৩টি পশু মারা গেলেও মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। স্থানীয়দের দাবি, মৃত পশুর সংখ্যা দেড় শতাধিক। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এসে ২২ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গুরুত্ব না দিলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলে। সুতরাং টিকাদান কর্মসূচিতে দীর্ঘসূত্রিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুততম সময়ে জনবল ঘাটতি পূরণ করা। স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে টিকা প্রদানের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে টিকার ভুল প্রয়োগের ঝুঁকি থেকে যাবে, যা আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। কারণ, অ্যানথ্রাক্সের মতো সংক্রামক রোগ পশু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। সুন্দরগঞ্জের এই পরিস্থিতি গোটা দেশের জন্যই এক সতর্কবার্তা।

back to top