বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি এখনো অপূর্ণ রয়েছে। দাবিগুলো নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারাদেশে তাদের সমমনা সহকর্মীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকরা জাতির মেরুদ-। তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেন। কিন্তু তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন পেলেও তাদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মাত্র ১,০০০ টাকা। সম্প্রতি এই ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। মাসিক ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং উৎসব ভাতার বর্তমান হারও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়ি ভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে বছরে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কিন্ত এটা শিক্ষকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তারা এটা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষকদের দাবিগুলো বিবেচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো।
শিক্ষকদের আন্দোলন শুধু তাদের নিজেদের জন্য নয়, এটি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অপ্রতুল বেতন-ভাতার কারণে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিক্ষকদের মর্যাদা ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেলে তা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি এখনো অপূর্ণ রয়েছে। দাবিগুলো নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারাদেশে তাদের সমমনা সহকর্মীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকরা জাতির মেরুদ-। তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেন। কিন্তু তাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেলে বেতন পেলেও তাদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মাত্র ১,০০০ টাকা। সম্প্রতি এই ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এটা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। মাসিক ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং উৎসব ভাতার বর্তমান হারও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়ি ভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে বছরে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কিন্ত এটা শিক্ষকদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তারা এটা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষকদের দাবিগুলো বিবেচনা করে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানো।
শিক্ষকদের আন্দোলন শুধু তাদের নিজেদের জন্য নয়, এটি শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অপ্রতুল বেতন-ভাতার কারণে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিক্ষকদের মর্যাদা ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেলে তা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করতে চাই।