চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি কারখানা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে। সৌভাগ্য যে কেউ মারা যাননি। এই অগ্নিকাণ্ড আবারও দেশের শিল্পকারখানার নিরাপত্তার দুরবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তা সনদ ছিল না। ভবনটি নির্মাণেও বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। অথচ এই নিয়মগুলো মানা না হলে ভবনের নিরাপত্তা থাকে না-এটা সবাই জানে।
জানা গেছে, ভবনের চারটি তলায় গুদাম করে রাখা হয়েছিল দাহ্য পদার্থ। এই পদার্থ আগুনে পুড়ে রাসায়নিকে পরিণত হয়। যে কারণে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ রূপ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ভাষায়, “এই পণ্যগুলো পুড়ে রাসায়নিক আগুনে পরিণত হয়েছে। ফলে অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট তাপ এতটাই বেশি ছিল যে ভবনের আরসিসি কাঠামোও ভেঙে পড়েছে।”
শিল্পকারখানায় অগ্নিকাণ্ড নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগে ঢাকার মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তাজরীন ফ্যাশনসসহ অনেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটানা ঘটেছে। এসব ঘটনায তদন্ত হয়, প্রতিবেদন তৈরি হয়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন আসে না। সনদবিহীন ভবন, দাহ্য পদার্থের গুদাম, সংকীর্ণ সিঁড়ি, এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকা-সবক্ষেত্রেই বারবার একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যায়।
সিইপিজেড একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে যদি নিরাপত্তা সনদ ছাড়াই কারখানা চলে, তাহলে সাধারণ শিল্পাঞ্চলের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।
শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তা সনদ বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে কারখানার কার্যক্রম চালাতে হবে। শ্রমিকদের নিয়মিত অগ্নি মহড়া ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, নিরাপত্তা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জীবনের অংশ। সিইপিজেডের এই অগ্নিকাণ্ড যেন শেষ সতর্কবার্তা হয় সেই আশা করতে চাই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) একটি কারখানা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে। সৌভাগ্য যে কেউ মারা যাননি। এই অগ্নিকাণ্ড আবারও দেশের শিল্পকারখানার নিরাপত্তার দুরবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটির অগ্নি নিরাপত্তা সনদ ছিল না। ভবনটি নির্মাণেও বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। অথচ এই নিয়মগুলো মানা না হলে ভবনের নিরাপত্তা থাকে না-এটা সবাই জানে।
জানা গেছে, ভবনের চারটি তলায় গুদাম করে রাখা হয়েছিল দাহ্য পদার্থ। এই পদার্থ আগুনে পুড়ে রাসায়নিকে পরিণত হয়। যে কারণে আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ রূপ নেয়। ফায়ার সার্ভিসের ভাষায়, “এই পণ্যগুলো পুড়ে রাসায়নিক আগুনে পরিণত হয়েছে। ফলে অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট তাপ এতটাই বেশি ছিল যে ভবনের আরসিসি কাঠামোও ভেঙে পড়েছে।”
শিল্পকারখানায় অগ্নিকাণ্ড নতুন কিছু নয়। দিন কয়েক আগে ঢাকার মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে তাজরীন ফ্যাশনসসহ অনেক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটানা ঘটেছে। এসব ঘটনায তদন্ত হয়, প্রতিবেদন তৈরি হয়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন আসে না। সনদবিহীন ভবন, দাহ্য পদার্থের গুদাম, সংকীর্ণ সিঁড়ি, এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকা-সবক্ষেত্রেই বারবার একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যায়।
সিইপিজেড একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানে যদি নিরাপত্তা সনদ ছাড়াই কারখানা চলে, তাহলে সাধারণ শিল্পাঞ্চলের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না।
শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তা সনদ বাধ্যতামূলকভাবে যাচাই করা জরুরি। বিল্ডিং কোড মেনে কারখানার কার্যক্রম চালাতে হবে। শ্রমিকদের নিয়মিত অগ্নি মহড়া ও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। আমাদের বুঝতে হবে, নিরাপত্তা কোনো বিলাসিতা নয়, এটি জীবনের অংশ। সিইপিজেডের এই অগ্নিকাণ্ড যেন শেষ সতর্কবার্তা হয় সেই আশা করতে চাই।